‘বেহায়া গদ্দারকে দলে ফেরাবেন না’, মমতার কাছে আর্জি তৃণমূল নেতাদের

সুনীল মণ্ডলের (Sunil Mondal) সাম্প্রতিক বক্তব্যে দলবদলের ইঙ্গিত স্পষ্ট। কিন্তু, স্থানীয় নেতৃত্ব তাঁকে ফেরানোর বিপক্ষে।

'বেহায়া গদ্দারকে দলে ফেরাবেন না', মমতার কাছে আর্জি তৃণমূল নেতাদের
সুনীল মণ্ডলকে তৃণমূলে না ফেরানোর আর্জি
Follow Us:
| Updated on: Jun 16, 2021 | 3:02 PM

কলকাতা: সম্প্রতি যে সব নেতার গলায় নতুন করে সুর বদলের ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে, তাঁদের মধ্যে অন্যতম সুনীল মণ্ডল। তৃণমূল থেকে সাংসদ হয়ে শুভেন্দুর হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু, সম্প্রতি বিজেপি নেতাদের সম্পর্কে যে ভাবে সমালোচনা করছেন তিনি, তাতে তাঁর দলবদলের ইঙ্গিত ক্রমশ স্পষ্ট হচ্ছে।  আর সেই সম্ভাবনা জোরাল হতেই ক্ষোভ প্রকাশ করল স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। তাঁদের আর্জি, সুনীল মণ্ডলকে যাতে তৃণমূলে ফেরানো না হয়। যে ভাবে ভোটের আগে নেত্রী সম্পর্কে অপমানজনক মন্তব্য করেছেন তিনি, সে কথা মনে করিয়ে দিতে চান তৃণমূল নেতারা।

সুনীল মণ্ডলের দলবদলের বিরোধিতায় বুধবার সকালে পোস্টার পড়েছে পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরে।তাঁকে ‘বেহায়া গদ্দার’ আখ্যা দেওয়া হয়েছে। গতকালই বিজেপি নেতা তথা সাংসদ সুনীল মণ্ডল সংবাদমাধ্যমের সামনে বয়ান দেন। তাতে তাঁর দলবদলের ইঙ্গিত ছিল স্পষ্ট। তিনি জানিয়েছিলেন, বিপুল জনাদেশ পেয়ে তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় ফিরেছে। তাকে বিরক্ত করা উচিত নয়। দ্বিতীয় সাক্ষাৎকারে তিনি এমন দাবিও করেন যে তিনি কোথাও যান নি। তৃণমূলেই আছেন। এমন অদ্ভুত দাবি রীতিমতো চর্চার বিষয় হয়ে ওঠে স্থানীয় নেতাদের। এরপরই সাংসদের কড়া বিরোধিতা শুরু করেন নেতারা।

এ দিন সকাল থেকেই জামালপুরের নুড়ি মোড়, আমড়া মোড় সহ নানা এলাকায় সুনীল বিরোধী পোস্টার পড়ে। ভোটের আগে এই অঞ্চলেই সুনীলের সমর্থনে ‘দাদার অনুগামী’ পোস্টারও পড়েছিল। এ-দিনের পোস্টারে বলা হয়েছে, ‘পূর্ব বর্ধমানের সাংসদ সুনীল কুমার মণ্ডল ভোটের আগে জৌগ্রামে এসে তৃণমূল নেত্রীকে কুশ্রী ভাষায় আক্রমণ ও তৃণমূল কংগ্রেসকে চোরেদের দল বলে আখ্যা দিয়েছিলেন। সেই বেইমান সাংসদ এখন ভোল পালটে তৃণমূলে ফিরতে চাইছেন।’  এলাকার এক তৃণমূল নেতা বলেন, ‘জৌগ্রামে এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অপমান করেছিলেন। মমতা ও অভিষেকের কাছে আমরা হাতজোড় করে আর্জি জানাচ্ছিল, যাতে সুনীলকে আর দলে না নেওয়া হয়।

দলবদল অবশ্য সুনীল মণ্ডলের কাছে নতুন কিছু নয়। ফরোয়ার্ড ব্লকের টিকিটে বিধায়ক হয়ে যোগ দিয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসে।দু’বার সাংসদ হওয়ার পর আবার দলবদলু হয়ে যোগ দেন বিজেপিতে।