CPIM: শীঘ্রই টাটা বলতে হবে DYFI-কে, কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে সূর্যকান্ত-রবীনরা সরলে জায়গা পাবেন মীনাক্ষীরা?
CPIM: মহিলা সমিতির সভাপতি বা সম্পাদক রয়েছেন জাহানারা খাতুন ও কনীনিকা ঘোষ বোস। কেরলের মহিলা সমিতির সভাপতি বা সম্পাদক কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হন। তাহলে পশ্চিমবঙ্গের মহিলার সমিতির সম্পাদক বা সভাপতি কেন কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হবেন না? প্রশ্ন তুলছেন আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের কেউ কেউ।

কলকাতা: সিপিআইএমের অন্দরে ব্যাটন বদল চলছেই। এবার পার্টি কংগ্রেসে যা আরও বড় আকারে হতে চলেছে বলেই সিপিআইএমের অন্দরে খবর। কেন্দ্রীয় কমিটিতে কারা আসবেন, কারা পাবেন নতুন জায়গা, তা নিয়েই এখন চর্চা বঙ্গ সিপিআইএমে। ২ এপ্রিল থেকে ৬ এপ্রিল তামিলনাড়ুর মাদুরাইতে সিপিআইএমের ২৪ তম পার্টি কংগ্রেস। বয়সের গেরোয় কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে বাদ পড়ছেন সূর্যকান্ত মিশ্র, রবীন দেব, রেখা গোস্বামী। আবার সূর্যকান্ত পলিটব্যুরোর সদস্য। ফলে সেখানে কে আসবেন তা নিয়ে চর্চা রয়েছে রাজনীতির কারবারিদের মধ্যে।
সূত্রের খবর, পলিটব্যুরোতে সূর্যকান্তের স্থানে আসতে পারেন শ্রীদীপ ভট্টাচার্য। তবে অল্প হলেও সেই চর্চায় রয়েছেন আভাস রায়চৌধুরীর নাম। কেন্দ্রীয় কমিটিতে ওই তিন নামের সঙ্গে বাদ পড়া নিয়ে চর্চা রয়েছে অঞ্জু কর ও অমিয় পাত্রের নামও। বয়স থাকলেও রাজ্য কমিটি থেকে নিজেই সরেছেন অঞ্জু। তাহলে সেই জায়গায় কে কে আসতে পারেন? চর্চায় রয়েছে মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ের নাম। দলের একটা বড় অংশ চাইছে কেন্দ্রীয় কমিটিতে মীনাক্ষীকে অন্তর্ভুক্ত করা হোক। যদিও মীনাক্ষী এখনও রাজ্য সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য নয়। কয়েক মাসের মধ্যে বয়সের কারণে DYFI থেকেও সরতে হবে বঙ্গ সিপিআইএমের অন্যতম এই প্রধান মুখকে।
আবার মহিলা সমিতির সভাপতি বা সম্পাদক রয়েছেন জাহানারা খাতুন ও কনীনিকা ঘোষ বোস। কেরলের মহিলা সমিতির সভাপতি বা সম্পাদক কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হন। তাহলে পশ্চিমবঙ্গের মহিলার সমিতির সম্পাদক বা সভাপতি কেন কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হবেন না? প্রশ্ন তুলছেন আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের কেউ কেউ। তবে রেখা গোস্বামীর জায়গায় মীনাক্ষীর প্রবেশ হলে কনীনিকার সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ, মীনাক্ষী আর জাহানারা দু’জনেই পশ্চিম বর্ধমানের।
আর বাকি জায়গাগুলির মধ্যে চর্চায় রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনার জেলা সম্পাদক পলাশ দাশের নাম। যদিও ইতিমধ্যেই তিনটি পদে রয়েছেন পলাশ। যা কেন্দ্রীয় কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার ক্ষেত্রে অন্তরায় হবে বলে মত রাজনীতির কারবারিদের অনেকের। অন্যদিকে হুগলির জেলা সম্পাদক দেব্রবত ঘোষের নামও এই আলোচনায় স্থান পেয়েছে। অনেকেই মনে করছেন, ডানকুনিতে রাজ্য সম্মেলন সুচারুভাবে আয়োজন করার পুরস্কার পেতে পারেন দেব্রবত। এদিকে আবার কলকাতা জেলা সম্পাদক কল্লোল মজুমদারের গুরুত্ব দলের অন্দরে ক্রমশ বাড়ছে। তাই কল্লোলের কেন্দ্রীয় কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল বলছেন সিপিআইএমের অনেকের। বয়সের ক্ষেত্রে ব্যতিক্রমী সিদ্ধান্ত না হলে সূর্যকান্ত, রবীন এবং রেখার বিদায় সময়ের অপেক্ষা। তা কার্যত পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে। এখন দেখার শেষ পর্যন্ত পার্টি কংগ্রেসে কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।





