Sovandeb Bhattacharya: ‘বাংলার মানুষ মমতার কথা বোঝেন’, আরজি কর মামলা প্রসঙ্গে কথা উঠতেই বললেন বর্ষীয়ান মন্ত্রী
Sovandeb Bhattacharya: রাজ্য পুলিশের তদন্তের পক্ষে সওয়াল করে তিনি বলেন, "আদালত বলল, সিবিআই। তাই হল। এর মধ্যে ১০০ দিনে আমাদের রাজ্যের পুলিশ দুটি ফয়সালা করে ফেলল। চার্জশিট হল৷" কুলতলি ও ফরাক্কার রায় দান প্রসঙ্গে বললেন, "একজনের মৃত্যুদণ্ড, আরেকজনের যাবজ্জীবন হল।"
বর্ধমান: ‘আমরা পারি, সিবিআই পারল না।’ আরজি কর কাণ্ডের মামলার প্রেক্ষিতে সিবিআই ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিলেন রাজ্যের মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। রবিবার বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারি সমিতির ডাকে এক রক্তদান শিবিরে যোগ দেন তিনি। সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়েই উঠে আসে, আরজি কর মামলায় ৯০ দিনের মধ্যেও সিবিআই-এর চার্জশিট জমা দিতে না পারার প্রসঙ্গটি। আর সেকথা উল্লেখ করতে গিয়েই শোভনদেব বলেন, “এই তো দেখছেন সিবিআইয়ের অবস্থা। আমার কেন্দ্রে বড় হওয়া একটি মেয়ে সে ডাক্তার, ধর্ষিতা হল, মারা গেল। তাই নিয়ে কত কিছু হল। আমি গেছি, মমতা গিয়েছে ওদের বাড়িতে। বলা হল, সিবিআই চাইলে সিবিআই হবে।”
রাজ্য পুলিশের তদন্তের পক্ষে সওয়াল করে তিনি বলেন, “আদালত বলল, সিবিআই। তাই হল। এর মধ্যে ১০০ দিনে আমাদের রাজ্যের পুলিশ দুটি ফয়সালা করে ফেলল। চার্জশিট হল৷” কুলতলি ও ফরাক্কার রায় দান প্রসঙ্গে বললেন, “একজনের মৃত্যুদণ্ড, আরেকজনের যাবজ্জীবন হল।”
শোভনদেব বলেন, “আমরা তো পারি। সিবিআই পারল না। একটার পর একটা বেল হয়ে যাচ্ছে। চার্জশিট, সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট দিতে পারল না। সবই খালাস হয়ে যাবে। আসলে সিবিআই সম্পর্কে গোপালকৃষ্ণ যা বলেছিলেন, সিবিআই বা ইডি হচ্ছে কেজড প্যারোট। প্রভু যা বলে, তাই করে। কিছু প্রমাণ করতে পারে না।”
জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলনকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, “এই তো কয়েকদিন আগে ডাক্তারদের আন্দোলন হল। কত অপপ্রচার। কতগুলো লোককে বসিয়ে দেয়। তারা আমাদের গালাগাল করে। এগুলো পরিকল্পিত।”
এসবেরও পরেই শোভনদেব বলেন, “তবে এতে কিছু হবে না। লোকসভা জিতেছি। বাংলার মানুষ মমতার কথা বোঝেন। ২৬ এর বিধানসভাও জিতব।”