Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Math Teacher: পাশের স্কুলের শিক্ষকের থেকে তৈরি করানো হয় প্রশ্নপত্র, ১২ বছর ধরে এই স্কুলে নেই অঙ্কের শিক্ষক

Purbasthali: জানা গিয়েছে, পঞ্চম থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত ক্লাস রয়েছে স্কুলে। অঙ্কের শিক্ষক না থাকায় অন্য বিষয়ের শিক্ষকরা সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত অঙ্কের ক্লাস নিতে পারেন।

Math Teacher: পাশের স্কুলের শিক্ষকের থেকে তৈরি করানো হয় প্রশ্নপত্র, ১২ বছর ধরে এই স্কুলে নেই অঙ্কের শিক্ষক
এই স্কুলে নেই অঙ্কের শিক্ষক (নিজস্ব চিত্র)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 16, 2023 | 11:47 AM

পূর্বস্থলী: স্কুল রয়েছে। রয়েছেন অন্যান্য বিষয়ের শিক্ষকও। তবে বিদ্যালয়ে নেই অঙ্কের শিক্ষক (Math Teacher)। সেই কারণে অঙ্ক পরীক্ষার প্রশ্ন ও পরীক্ষার খাতা দেখাতে সাহায্য নিতে ভরসা অন্য স্কুলের শিক্ষকের। গত বারো বছর ধরে এই ভাবেই চলছে পূর্বস্থলী ২ নম্বর ব্লকের পাটুলী গার্লস হাইস্কুল। সূত্রের খবর, এই স্কুলে অঙ্কের শিক্ষক না থাকায় প্রাইভেট শিক্ষকের কাছেই নির্ভর করতে হচ্ছে ছাত্রীদের। স্থানীয় বিডিও যদিও বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলতে চাননি। ক্যামেরার মুখোমুখি না হয়ে স্কুল পরিদর্শক মৌখিক জানিয়েছেন যে, বিষয়টি আগেই তিনি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন।

জানা গিয়েছে, পঞ্চম থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত ক্লাস রয়েছে স্কুলে। অঙ্কের শিক্ষক না থাকায় অন্য বিষয়ের শিক্ষকরা সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত অঙ্কের ক্লাস নিতে পারেন। বাকী অষ্ঠম থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত অঙ্কের ক্লাস হয় না। স্কুলে পরীক্ষা হলে অন্য স্কুলের শিক্ষকদের দিয়ে অঙ্কের প্রশ্ন করিয়ে নিতে হয়। আবার পরীক্ষার খাতা দেখাতে সেই অন্য স্কুলের শিক্ষকদের সাহায্য নিতে হয়। বিশেষ করে স্কুলে অঙ্কের শিক্ষক না থাকায় সমস্যায় পড়তে হয় মাধ্যমিক দেবে এমন ছাত্রীদের। স্কুলের তরফে বারবার অঙ্কের শিক্ষক চেয়ে শিক্ষা দফতরে আবেদন করেও মেলেনি শিক্ষক। ক্ষুদ্ধ অভিভাবকরাও।

এক ছাত্রী বলেন, “আমাদের অঙ্কের ক্লাস হয় না। আমরা নিজেরা বাড়িতে অঙ্ক অভ্যাস করি। প্রাইভেট টিউশনে করি। পরীক্ষার সময় অন্য স্কুল থেকে শিক্ষককে দিয়ে প্রশ্ন করা নো হয়। তবে বুঝতে পারি না কোন প্রশ্ন আসতে পারে।” স্কুলের এক শিক্ষক বলেন, “এখানে যিনি অঙ্কের শিক্ষক ছিলেন তিনি এখন আর নেই। স্কুল ছেড়ে চলে গিয়েছেন। তারপর থেকে পদ খালি রয়েছে। নতুন কোনও শিক্ষক আসেননি। ক্লাস এইট থেকে অসুবিধা হয়। মেয়েদের সত্যি অসুবিধা হয়। আমাদের জন্যও অসুবিধা। কারণ আমাদের অন্য স্কুলের শিক্ষকের থেকে প্রশ্ন প্ত্র তৈরি করে আনতে হয়।”