Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Police Officer: কয়লাকাণ্ডে অভিযুক্ত সিউড়ির IC-কে ভাল মানুষ হিসেবেই চেনে গ্রামের মানুষ

Coal Smuggling Case: সিবিআই সূত্রের খবর, বীরভূমের বিস্তীর্ণ এলাকায় কয়লা পাচারকারীদের নিরাপত্তা দিতে মোটা টাকার বিনিময়ে চোরাই কয়লার ট্রাকগুলিকে গ্রিন করিডর তৈরি করে দিতেন তিনি।

Police Officer: কয়লাকাণ্ডে অভিযুক্ত সিউড়ির IC-কে ভাল মানুষ হিসেবেই চেনে গ্রামের মানুষ
অভিযুক্ত আইসি ও তাঁর গ্রামের বাড়ি।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 15, 2023 | 6:42 PM

বর্ধমান: কয়লা পাচারকারী দের নিরাপত্তা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে। কয়লা পাচারে যাতে কোনও অসুবিধা না হয় সে জন্য তিনি নাকি সমস্ত ব্যবস্থা করে দিতেন। এই সাহায্যের বিনিময়ে কোটি কোটি টাকা তোলার অভিযোগও রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। কয়লা পাচারে যুক্ত থাকার অভিযোগে বীরভূমের সিউড়ি থানার আইসি মহম্মদ আলিকে মঙ্গলবার জিজ্ঞাসাবাদ করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই। কলকাতার নিজাম প্যালেসে মঙ্গলবার জিজ্ঞাসাবাদের পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে তাঁকে। কিন্তু ওই পুলিশ অফিসারের পাশে দাঁড়ালেন তাঁর গ্রামের বাড়ির এলাকার বাসিন্দারা। তাঁদের দাবি, সিউড়ির আইসি খুবই পরোপকারী লোক। তিনি এ ধরনের কাজে যুক্ত নন বলেও দাবি গ্রামবাসীদের।

কয়লাপাচার কেলেঙ্কারিতে বীরভূমের সিউড়ি থানার আইসি মহম্মদ আলি শেখকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই। তাঁর বিরুদ্ধে মোটা টাকার বিনিময়ে বীরভূমের কয়লা পাচারকারীদের নিরাপত্তা দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। সিবিআই মঙ্গলবার তাঁকে কলকাতার নিজাম প্যালেসে তলব করেছিল। মহম্মদ আলি শেখের বাড়ি পূর্ব বর্ধমান ক্ষেতিয়া গ্রামের পূর্ব পাড়ায়। বুধবার গ্রামের বাসিন্দারা জানান, সিবিআই মহম্মদ আলিকে তলব করার খবর শুনেছেন তাঁরা। তবে তাঁদের দাবি, মহম্মদ আলি শেখ ভালো মানুষ। তবে গ্রামের বাড়িতে খুব একটা থাকেন না ওই পুলিশ অফিসার। মাঝে মধ্যে সেখানে তিনি আসেন বলে জানা গিয়েছে।

ক্ষেতিয়ায় গ্রামের বাড়িতে থাকেন তাঁর দাদা মাসুদ আলি। তিনি জানিয়েছেন, তাঁদের ১৪ বিঘে জমি আছে। চাষের জমির ফসলের ভাগ নিতে গ্রামে আসেন মহম্মদ আলি। তবে বেশিক্ষণ থাকেন না বলেও জানিয়েছেন তাঁর দাদা। অন্য দিকে সেখ নইমুদ্দিন, ইমামুল হক নামের গ্রামবাসীরা মহম্মদ আলির বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগে রীতিমতো অবাক। তাঁরা জানিয়েছেন, গ্রামে এলে মহম্মদ সকলের সঙ্গে কথা বলেন। ওই গ্রামবাসীদের মতে, “কোথাও ভুল হচ্ছে। মহম্মদ আলি শেখ ওই রকম মানুষ নন।”

সিবিআই সূত্রের খবর, বীরভূমের বিস্তীর্ণ এলাকায় কয়লা পাচারকারীদের নিরাপত্তা দিতে মোটা টাকার বিনিময়ে চোরাই কয়লার ট্রাকগুলিকে গ্রিন করিডর তৈরি করে দিতেন তিনি। যার ফলে বিনা বাধায় পাচার হত কয়লা। কয়লা পাচার যখন হয়েছিল তখন বীরভূমের মহম্মদ বাজারের ওসি ছিলেন তিনি। সিবিআই সূত্রে খবর, সেই সময় কয়েক বছরে কোটি কোটি টাকা তুলেছিলেন এই মহম্মদ আলি শেখ। অভিযোগ, সেই টাকার বখরা প্রভাবশালীদের কাছে পৌঁছেও দিয়েছিলেন তিনি। এই কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্তরা জেরায় মহম্মদ আলি শেখের নাম জানিয়েছেন বলে দাবি সিবিআইয়ের।

পূর্ব বর্ধমান জেলা বিজেপি সম্পাদক মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্র বলেছেন, “যাঁরা দুর্নীতি করেছেন তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তা সেই পুলিশ অফিসার হোক বা নেতা। উনি গ্রামের মানুষের সঙ্গে ভাল ব্যবহার করেছেন, খুব ভাল কথা। কিন্তু যেখানে স্বচ্ছ থাকার দরকার ছিল সেখানে ওই অফিসার করেনি। কিছু পুলিশ অফিসার রাজ্য সরকারের ক্যাডারের মতো কাজ করেন। এই দুর্নীতির আঁতুড় ঘর ভাঙতে গেলে এদের গ্রেফতার করতে হবে।”