BJP Clash: বিজেপির পার্টি অফিসে তালা ঝোলাল ‘বিক্ষুব্ধ বিজেপি’, গোষ্ঠীকোন্দল বর্ধমানে

Burdwan: সেই রাজু পাত্র-সহ শ্যামলঘনিষ্ঠরা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বর্ধমান শহরে দলীয় কার্যালয়ের সামনে। গেটে ঝোলান তালা।

BJP Clash: বিজেপির পার্টি অফিসে তালা ঝোলাল 'বিক্ষুব্ধ বিজেপি', গোষ্ঠীকোন্দল বর্ধমানে
দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 06, 2023 | 9:52 PM

পূর্ব বর্ধমান: বিজেপির (BJP) গোষ্ঠী কোন্দলের অভিযোগ ঘিরে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি বর্ধমান (Purba Burdwan) শহরে। দলেরই এক গোষ্ঠী পার্টি অফিসে ঝোলাল তালা। চলল হাতাহাতি, ধস্তাধস্তি। সাংগঠনিক জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে স্লোগানও দিতে শোনা গেল বিক্ষোভকারীদের। বৃহস্পতিবার এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তুমুল উত্তেজনা ছড়ায়। অশান্তির খবর পেয়ে বর্ধমান থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। ঘটনার সূত্রপাত গত মাসের শেষের দিকে। পূর্ব বর্ধমান সদর জেলার বিজেপি সহ সভাপতি শ্যামল রায় পদত্যাগ করেন। জেলা সভাপতি অভিজিৎ তা ও বর্ধমান দুর্গাপুরের বিজেপি সাংসদ সুরিন্দর সিংহ আহলুওয়ালিয়ার নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তোলেন তিনি। এরপর শ্যামল রায়কে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। রাজ্য কার্যালয় সম্পাদক প্রণয় রায় এ সংক্রান্ত নির্দেশিকা দেন। এরপর শ্যামল রায়ের একাধিক অনুগামী একে একে দলের পদ ছাড়তে শুরু করেন। তালিকায় ছিলেন বিজেপি সদর জেলার আদিবাসী মোর্চার সাধারণ সম্পাদক ও রাজ্য কমিটির তপশিলি মোর্চার সদস্য রাজু পাত্র-সহ একাধিক মুখ। বৃহস্পতিবার সেই রাজু পাত্র-সহ শ্যামলঘনিষ্ঠরা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বর্ধমান শহরে দলীয় কার্যালয়ের সামনে। গেটে ঝোলান তালা।

বিক্ষুব্ধদের অভিযোগ, জেলা সভাপতি অভিজিৎ তা স্বজনপোষণ করছে। আর তাতে তাঁর সঙ্গী জেলার যুব সভাপতি পিন্টু শ্যাম। শ্যামল রায়কে দলে ফেরানোর দাবিতে বিক্ষোভ দেখান তাঁর অনুগামীরা। অভিজিৎ ও পিন্টুর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ারও দাবি তোলেন। এদিকে এই বিক্ষোভ দেখাতে দেখাতে জেলা পার্টি অফিসে তালা দিয়ে দেন তাঁরা। এরপরই খবর পেয়ে ছুটে আসেন পিন্টু ও তাঁর দলবল। হাতুড়ি দিয়ে তালা ভাঙেন তাঁরা।

এরপরই দু’পক্ষের মধ্যে তুমুল বচসা, হাতাহাতি শুরু হয়। তুলকালাম বাধে মুহূর্তে। বিক্ষুব্ধরা এই পার্টি অফিসের উল্টোদিকেই অস্থায়ীভাবে চালাঘরে বসতেন। সেখানেও ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ ওঠে। ভেঙে ফেলা হয় এর পাশেই থাকা একটি চায়ের দোকানও। শাসকদলে প্রায়শই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ ওঠে। ইদানিং বিরোধী শিবিরেও প্রকাশ্যে সেই দলাদলির ছবি।

এদিন বিক্ষুব্ধ বিজেপি কর্মী রাজু পাত্র বলেন, “শ্যামল রায়কে বহিষ্কার করা হয়েছে। আমরা এর প্রতিবাদ জানিয়েছি। আন্দোলনে নেমেছি, এটা চলবে। রাজ্য নেতৃত্ব বা কেন্দ্র নেতৃত্বকে পদক্ষেপ করতে হবে। অযোগ্য জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে আমরা আন্দোলন করছি।” যদিও পিন্টু শ্যামের বক্তব্য, “দল নীতি আদর্শের উপর নির্ভর করে চলে। কোনও ব্যক্তির উপর নির্ভর করে চলে না। আমাদের কাছে দল বড়। দল যা সিদ্ধান্ত নিয়েছে, স্বাগত জানিয়ে কাজ করছি। আমি ছিলাম না, পার্টি অফিসে কম লোক ছিল। সেই সময় শ্যামল রায় ও কিছু দুষ্কৃতী এসে পয়সা খাইয়ে লোক এনে তালা দিয়ে দেয় দলের অফিসে। আমরা সেই তালা ভেঙেছি। ওরা ছুটে চলে গিয়েছে। শ্যামল রায় দীর্ঘদিন ধরে দলের ক্ষতি করছিল। রাজ্য নেতৃত্ব যা ভাল বুঝেছে করেছে।”

গোষ্ঠীকোন্দলের বিষয়ে বিজেপি নেতা সজল ঘোষ বলেন, “পুরো ব্যাপারটা আমি জানি না, তাই মন্তব্য করাটা ঠিক নয়। তবে দলের যে কোনও ধরনের সমস্যা দলের ভিতরে আলোচনা করে মিটিয়ে নেওয়াটাই আমার চোখে বাঞ্ছনীয়। যাঁরা এই ধরনের কাজ করেন তা দলবিরোধী। আর দল বিরোধী কাজকে বিজেপি কখনওই সমর্থন করে না। এটা তৃণমূল নয়।”