Panchayet Election: ‘কেন্দ্রীয় বাহিনী না হলে ভোটের ডিউটিতে যাব না’, হুঁশিয়ারি সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের
Panchayet Election: আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী না থাকলে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আন্দোলনরত সরকারি কর্মচারীরা ভোটের কাজে অংশ নেবেন না। বৃহস্পতিবার এমনই হুঁশিয়ারি দিয়ে রাখলেন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের রাজ্য কনভেনার ভাস্কর ঘোষ।
বর্ধমান: বকেয়া মহার্ঘভাতার দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে সরকারি কর্মচারীদের যৌথ মঞ্চ। পেনডাউন, অনশন, ধর্মঘট সব করা হয়েছে। এবার হুঁশিয়ারির সুর আরও চড়াল সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী না থাকলে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আন্দোলনরত সরকারি কর্মচারীরা ভোটের কাজে অংশ নেবেন না। বৃহস্পতিবার এমনই হুঁশিয়ারি দিয়ে রাখলেন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের রাজ্য কনভেনার ভাস্কর ঘোষ। এদিন বর্ধমান আদালত চত্বরে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের একটি সভার আয়োজন করা হয়েছিল। সেখান থেকেই এই হুঁশিয়ারি দিয়ে রাখলেন তিনি। বললেন, অতীতে পঞ্চায়েত ভোটে বহু প্রাণহানি হয়েছে। আমরা কীভাবে বলব, সরকার যেভাবে ভোট করাতে চাইছে, তাতে ভোটকর্মীরা সুরক্ষিত হবে? তাই আমাদের দাবি, সাধারণ মানুষের ভোটাধিকার সুরক্ষিত করতে এবং ভোটকর্মীদের সুরক্ষার অধিকার সুরক্ষিত করতে কেন্দ্রীয় বাহিনী ছাড়া ভোট করানো যাবে না।’
উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করানোর দাবি দীর্ঘদিন ধরেই তুলে আসছে রাজ্যের বিরোধী দলগুলি। তাদেরও বক্তব্য় একই। অতীতে রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনে যে অশান্তির অভিযোগ উঠেছে, সেই পরিস্থিতিতে শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন করাতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপরেই ভরসা রাখছে বিরোধীরা। এবার সেই কথা শোনা গেল সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের রাজ্য কনভেনার ভাস্কর ঘোষের গলাতেও। কিন্তু আন্দোলনরত সরকারি কর্মীদের দাবি যদি না মানা হয়, তাহলে? ভাস্কর ঘোষের সাফ কথা, ‘দাবি না মানা হলে, আমরা ভোট করাতে যাব না। দেখব নির্বাচন কমিশন বা সরকার কীভাবে ভোট করায়। আমাদের দাবি, মানুষের প্রাণের সুরক্ষার অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।’
প্রসঙ্গত, রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিনক্ষণ এখনও ঘোষণা হয়নি। কিন্তু সব রাজনৈতিক দলগুলিই ইতিমধ্যে নিজেদের ঘুঁটি সাজাতে শুরু করে দিয়েছে। এরই মধ্যে এবার কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে পঞ্চায়েত ভোট করানোর দাবি তুললেন আন্দোলনরত সরকারি কর্মচারীরা। হুঁশিয়ারি দিলেন, দাবি মানা না হলে ভোটের কাজে অংশ নেবেন না তাঁরা। এখন দেখার আগামী দিনে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের এই হুঁশিয়ারির কতটা প্রভাব পড়ে রাজ্য রাজনীতিতে।