BJP: ‘তৃণমূলকে মেরে তিন মাস জেলে থাকুন, দল কোর্টে লড়াই করবে’, কর্মীদের ‘ভোকাল টনিক’ বিজেপি নেতার

Purba Burdwan: বুধবার পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোটের কৈচরে বিজেপির সভা ছিল। সেখানে বক্তব্য রাখতে ওঠেন বিজেপির কাটোয়া সাংগঠনিক জেলা সভাপতি গোপাল চট্টোপাধ্যায়।

BJP: 'তৃণমূলকে মেরে তিন মাস জেলে থাকুন, দল কোর্টে লড়াই করবে', কর্মীদের 'ভোকাল টনিক' বিজেপি নেতার
গোপাল চট্টোপাধ্যায় ও রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 06, 2023 | 6:39 PM

কাটোয়া: ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত (Panchayet Election) ভোট যত এগিয়ে আসছে, ততই আগলহীন হচ্ছে রাজনৈতিক নেতাদের বুলি। কোথাও শাসকদলের শাসানি, আবার কোথাও রক্তচক্ষু দেখাচ্ছে বিরোধীরা। আর এসবের মাঝে ভোট নিয়ে বুক দুরু দুরু আমজনতার। বাঁকুড়া থেকে বর্ধমান, রাজ্যজুড়ে সর্বত্রই কমবেশি ছবিটা এক। পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া (Katwa) মহকুমার মঙ্গলকোটের বিজেপি জেলা সভাপতিকে এক দলীয় কর্মসূচি থেকে বলতে শোনা গেল, ‘তৃণমূলের লোকের কাছে মার খেয়ে ঘরে পড়ে থাকার চেয়ে, তৃণমূলকে মেরে তিন মাস জেলে থাকা ভাল।’ একইসঙ্গে ওই বিজেপি নেতা আশ্বাস দেন, এই ধরনের মারামারিতে যাঁরা যুক্ত থাকবেন, তাঁরা জেলে গেলে দল তাঁদের হয়ে আইনি লড়াই করবেন। পাল্টা তৃণমূলের বক্তব্য, এসব উস্কানিমূলক কথা বলে টিকে থাকতে চাইছে বিজেপি।

বুধবার পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোটের কৈচরে বিজেপির সভা ছিল। সেখানে বক্তব্য রাখতে ওঠেন বিজেপির কাটোয়া সাংগঠনিক জেলা সভাপতি গোপাল চট্টোপাধ্যায়। দলের নেতাদের ‘ভোকাল টনিক’ দিতে গিয়ে তাঁকে বলতে শোনা যায়, “তৃণমূলের হাতে মার খেয়ে তিন মাস হাসপাতালের বেডে পড়ে থাকার চেয়ে আপনাকে মারতে এলে সেই তৃণমূলকে মেরে তিন মাস জেলে থাকুন। এটাই মন্ত্র করে নিন। তৃণমূল মারতে এলে ওদের মাথা ফাটিয়ে দিয়ে তিন মাস জেলে থাকব। নিশ্চিত থাকুন, আপনাদের জন্য বিজেপি কোর্টে লড়াই করবে। আজ পশ্চিম মঙ্গলকোটে আমাদের লোককে মারা হয়েছে। আমরা এর শেষ দেখে ছাড়ব। আজ থেকে তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়ার জন্য শক্তি বাড়ান।”

বিজেপি নেতার এই বক্তব্যকে নিয়ে জোর বিতর্ক শুরু হয়েছে জেলায়। পূর্ব বর্ধমানের তৃণমূল জেলা সভাপতি তথা কাটোয়ার বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “এসব প্ররোচনামূলক বক্তব্য বিজেপি সর্বত্রই রাখছে। অবাক লাগছে, কোর্ট কি ওদের? কোর্টে গিয়ে দেখে নেবে বলছে কী করে? আসলে এসব কথা বলে কর্মীদের তাতিয়ে ভাঁওতা দিচ্ছে। আমরা বক্তব্যটা ভাল করে শুনে আইনত ব্যবস্থা নেওয়ার হলে নেব। আসলে সংঘর্ষ করেই ওরা টিকে থাকতে চাইছে। বিজেপির তো উন্নয়নের কথা বলে ভোট চাওয়ার মুখ নেই। এসব বলছে। উস্কানিমূলক কথা বলেন, সংঘর্ষ লাগিয়ে এসব করতে চাইছে।”