Digha Mandarmani Situation: শনিবারও উত্তাল সমুদ্র, দিঘা, মন্দারমণিতে সতর্ক করা হচ্ছে পর্যটকদের
Digha Mandarmani Situation: গত কয়েকদিন ধরে প্রবল জলোচ্ছ্বাস দেখা যাচ্ছে দিঘা-মন্দারমণি জুড়ে। পর্যটকদেরস বিপদের আশঙ্কায় চলছে কড়া নজরদারি।
দিঘা : এটা যে রাস্তা, তা দেখে বোঝার উপায় নেই! উত্তাল সমুদ্রের জল সোজা এসে আছড়ে পড়ছে রাস্তায়। গত কয়েকদিন ধরে এমন দৃশ্য দেখা যাচ্ছে দিঘা, মন্দারমণি, শঙ্করপুরে। পর্যটকদের অনেকেই জানিয়েছেন, এমন দৃশ্য তাঁরা দেখেননি কখনও। পর্যটকেরা আনন্দে থাকলেও উদ্বেগ রয়েই যাচ্ছে। বিপুল জলোচ্ছ্বাসের মধ্যেও অনেকে অতি উৎসাহী হয়ে সমুদ্রের দিকে চলে যাচ্ছেন। পা ফস্কে গেলেই বিপদ। তাই সকাল থেকে উপকূলবর্তী এলাকায় প্রচার চালানো হচ্ছে প্রশাসনের তরফ থেকে। পুলিশ আধিকারিকরা গিয়ে সতর্ক করছেন সাধারণ মানুষকে।
শনিবার সকাল থেকেও একই দৃশ্য দেখা গেল উপকূলবর্তী এলাকায়। সপ্তাহান্তের ভিড় চোখে পড়ার মতো। সমুদ্রের পাড়ে দাঁড়িয়ে স্নানের আনন্দ উপভোগ করছেন তাঁরা। রাস্তার জলেই বসে পড়ছেন কেউ কেউ। এক পর্যটক বলেন, আগে এতবার দিঘায় এসেছি। কোনও দিন এমন দৃশ্য দেখিনি। খুব আনন্দ হচ্ছে। তবে জলোচ্ছ্বাস নিয়ে উৎসাহী হলেও বিপাকে পড়েছেন সমুদ্রের পাড়ের দোকানদারেরা। তাঁদের দোকান পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছে জল। ফলে কয়েকদিন ধরে ব্যবসা বন্ধ অনেকেরই।
শুধু দিঘায় নয়। এই অবস্থা মন্দারমণি ও শঙ্করপুরেও। জলোচ্ছ্বাসের সেই দৃশ্য দেখতে ভিড় জমিয়েছেন পর্যটকেরা। সেখানেও সতর্ক করতে মাইকিং চলছে উপকূলে। নুলিয়াদের সতর্ক থাকার কথা বলা হয়েছে।
পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, বঙ্গোপসাগরে ঝোড়ো আবহাওয়া থাকছে আপাতত। বাতাসের গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় ৪৫ কিমি বা তার বেশি। পশ্চিমবঙ্গে মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে পাড়ি দিতে নিষেধ করা হয়েছিল শুক্রবার পর্যন্ত। কিন্তু শনিবারও দেখা গেল একই পরিস্থিতি।
পূর্ণিমা কোটালের জেরেই মূলত সৈকত শহরে এই প্রবল জলোচ্ছ্বাস বলে জানা গিয়েছে। তার জেরেই কার্যত জলমগ্ন দিঘার সৈকত, রাস্তাঘাট, বাজার এলাকা। কোনও ঝুঁকি নিতে রাজি নয় জেলা প্রশাসন।