Mandarmani: মন্দারমণিতে গোপনে চলছে এইসব? গ্রামবাসীরা হাতেনাতে ধরে দিল থানায়

Cattle Smuggling: অভিযোগ, ওড়িশা থেকে একটি ট্রলারে প্রায় ৩০ থেকে ৩৫টি গরু বিক্রি করার উদ্দেশে সমুদ্রপথে এ রাজ্যে আনা হয়। রামনগরের মন্দারমণি থানা এলাকার দক্ষিণ পুরুষোত্তমপুরে মেরিন ড্রাইভ লাগোয়া এলাকায় এই গরু আনা হয়। গরু নামানোর সময় গ্রামবাসীদের নজরে আসতেই গ্রামবাসীরা একজনকে আটক করে এবং পুলিশে খবর দেয়।

Mandarmani: মন্দারমণিতে গোপনে চলছে এইসব? গ্রামবাসীরা হাতেনাতে ধরে দিল থানায়
এই ট্রলারেই গরু আনা হয়েছে বলে অভিযোগ। Image Credit source: TV9Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 28, 2023 | 6:01 PM

পূর্ব মেদিনীপুর: এবার আন্তঃরাজ্য গরু পাচারের অভিযোগ উঠল এ রাজ্যে। অভিযোগ, রামনগর এলাকায় জলপথ ব্যবহার করে লুকিয়ে গরু আনা হয় ওড়িশা থেকে। গ্রামবাসীরা হাতেনাতে ধরে ফেলে। যদিও যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, ওড়িশার সেই বাসিন্দা নিজেকে গরুর ব্যবসায়ী বলেই দাবি করেছেন। তবে এলাকার লোকজন থানায় খবর দেয়। তাঁদের দাবি, কাগজপত্র না দেখাতে পারলে থানাতেই নিয়ে যেতে হবে ওই ব্যবসায়ী-সহ সাঙ্গপাঙ্গদের। গরুপাচার মামলার তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এ নিয়ে রাজ্য কার্যত তোলপাড়। বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল এই মামলাতেই তিহাড় জেলে বন্দি। এবার সেই গরু পাচারেরই অভিযোগ উপকূলের জেলায়।

অভিযোগ, ওড়িশা থেকে একটি ট্রলারে প্রায় ৩০ থেকে ৩৫টি গরু বিক্রি করার উদ্দেশে সমুদ্রপথে এ রাজ্যে আনা হয়। রামনগরের মন্দারমণি থানা এলাকার দক্ষিণ পুরুষোত্তমপুরে মেরিন ড্রাইভ লাগোয়া এলাকায় এই গরু আনা হয়। গরু নামানোর সময় গ্রামবাসীদের নজরে আসতেই গ্রামবাসীরা একজনকে আটক করে এবং পুলিশে খবর দেয়। এমনও অভিযোগ, পুলিশ বলেছিল কিছু টাকার বিনিময়ে গরু ছেড়ে দিতে। তবে গ্রামবাসীরা তাতে রাজি হননি বলে দাবি করেন এলাকার বাসিন্দা নারায়ণ মণ্ডল।

নারায়ণ মণ্ডল বলেন, “আমরা তো অত জানি না। খবর পাই এখানে বোটে করে গরু নামানো হয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে গ্রামের ভিতর থেকে একটা বড় মোবাইল ফোন আছে এমন ছেলেকে নিয়ে আসি। ওরা ৩০-৩৫টা গরু এনেছে। সোনাবোটটা পাশে রাখা ছিল। শ্মশানের ঘাটে কিছু বাঁধা আছে। একটা বড় পুকুর আছে, তার পাশেও কিছু আছে। ৫-৭ জন এসেছে গরু নামাতে। জিজ্ঞাসা করায় বলল ওড়িশা থেকে এসেছে। এরপরই থানায় জানাই সবটা। পুলিশ এসে বলছে পুজোর কিছু চাঁদা নিয়ে ছেড়ে দাও। আমরা বলি, এক টাকাও নেব না। কাগজ দেখাক, গরু নিয়ে যাক।”

দেবেন্দ্র বহেঢ়া নামে ওই ব্যবসায়ী বলেন, “আমি ওড়িশার ধামরার বাসিন্দা। ২০টা গরু দিয়েছি। আমাদের ফার্ম আছে। বাছুর কিনি। বড় হলে তারপর ব্যাপারিকে দিই। ওনারা কাগজের কথা বললেন। কিন্তু আমি তো মালিক, আমারই গরু তার আবার কাগজের কী আছে? দরকার হলে করে দেব কাগজ।” কিন্তু সড়কপথে না এসে হঠাৎ এভাবে জলপথে আসার কারণ? সড়কপথে ঝুটঝামেলার যুক্তি দেখান তিনি।

এ বিষয়ে মন্দারমণি উপকূল থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক দেবব্রত বেরা বলেন, “বেশ কিছু গরু উদ্ধার হয়েছে। খবর পেয়ে থানার ফোর্স যায় এলাকায়। তবে সমগ্ৰ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”