ইয়াস আসার আগেই প্রভাব জেলায়, আতঙ্ক-উদ্বেগে পূর্ব মেদিনীপুর
সোমবার রাত থেকেই ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের (Yaas) প্রভাব পড়তে শুরু করেছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা জুড়ে। একদিনের বৃষ্টিতেই ভেসেছে বিভিন্ন এলাকা। কোথাও কোমর অবধি জল জমেছে, কোনও কোনও এলাকায় এর মধ্যেই বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
পূর্ব মেদিনীপুর: সোমবার রাত থেকেই ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের (Yaas) প্রভাব পড়তে শুরু করেছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা জুড়ে। একদিনের বৃষ্টিতেই ভেসেছে বিভিন্ন এলাকা। কোথাও কোমর অবধি জল জমেছে, কোনও কোনও এলাকায় এর মধ্যেই বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়েছে।
মাঝারি বৃষ্টিপাত আর ঝোড়ো হাওয়ায় আতঙ্কে ভুগছেন কোলাঘাটের মানুষ। রূপনারায়ণ নদীর তীরবর্তী এলাকায় গতকাল রাত থেকে শুরু হয়েছে বাঁধ মেরামতির কাজ। একদিকে ইয়াসের প্রভাব, অন্যদিকে প্রচণ্ড জোয়ারে দীর্ঘ দিনের নদীর বাঁধ সমস্যা সমাধানের জন্য কোলাঘাটের পীরতলা সহ একাধিক এলাকায় নদী বাঁধ মেরামতির কাজ চলছে এখনও। স্থানীয় প্রশাসন এবং সেচ দফতর যুদ্ধকালীল তৎপরতায় শুরু করেছে এই কাজ। হাত লাগিয়েছেন এলাকার মানুষজনও। রূপনারায়ণ তীরবর্তী বিভিন্ন জায়গায় নদীর বাঁধ পাকাপোক্ত নয়। মাঝে মধ্যে অনেক জায়গায় ফাটল দেখা দেয়। ঠিক সেই কারণে প্রশাসনের তরফ থেকে এই ভগ্নপ্রায় বাঁধগুলির মেরামতের কাজ শুরু করল সেচ দফতর।
এদিকে ইয়াসের দুর্যোগ মোকাবিলায় এগরা মহকুমা স্বাস্থ্য দফতরের উদ্যোগে মহকুমা হাসপাতাল ও এগরা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে যাতে বিদ্যুতের ঘাটতি না হয় তার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানান ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার মিহির দাস। তিনি জানান, ঝড় শুরু হয়ে যাওয়ার মুখে 125 KVA করে দুটো জেনারেটর প্রস্তুত করা আছে। একটা বন্ধ হলে আর একটা চালু হয়ে যাবে। সরকারি ভাবে বিদ্যুৎ না থাকলেও কোনও সমস্যা হবে না।
জেলা উপমুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক (ACMOH) ডক্টর সুনীলকুমার মণ্ডল জানান, ইয়াস মোকাবিলায় বৈদ্যুতিক কোনও সমস্যা নেই। কারণ, আমরা বিশেষ জেনারেটরের ব্যবস্থা রেখেছি ব্লকের স্বাস্থ কেন্দ্র গুলিতে। তাছাড়া দুর্যোগ মোকাবিলায় এগরা মহকুমার সমস্ত ব্লক, উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলিতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ওষুধ স্টক করা হয়েছে।
বিধ্বংসী ইয়াসের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে তৎপর রেল দফতরও। মেচেদা স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রেনগুলির ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে রেল দফতরের তরফে লোহার চেন দিয়ে বাঁধা হল ট্রেনের চাকা। রেল দফতর সূত্রে খবর, বিধ্বংসী ইয়াসের গতিবেগ খুব বেশি হতে পারে। তাই দাঁড়িয়ে থাকা ট্রেনগুলি লাইনচ্যুত বা গড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। ফলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।
আরও পড়ুন: অন্য দিকে বাঁক, বদলাল ইয়াসের গতি সংক্রান্ত পূর্বাভাস! নির্ধারিত সময়ের আগেই কোথায় ল্যান্ডফলের আশঙ্কা?
সে কারণেই মোটা লোহার চেন ও চাকার নিচে লোহার গার্ড লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। এদিকে ঘূর্ণিঝড় আসার আগেই জেলার একাধিক জায়গা বিদ্যুৎ পরিষেবা বন্ধ হয়ে গিয়েছে।