BJP: নন্দীগ্রামে দুই গেরুয়া শিবিরের লড়াইয়ে ঝরল রক্ত, মাথা ফাটল দুই মহিলার, গ্রেফতার ৪
BJP: গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের অভিযোগ মানতে চাননি তমলুক সাংগঠনিক জেলা বিজেপি-র সভাপতি তপন ব্যানার্জি। উল্টে তৃণমূলের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন তিনি।
নন্দীগ্রাম: বিজেপির (BJP) আদি-নব্যের লড়াইয়ে উত্তপ্ত হল নন্দীগ্রামের (Nandigram) তারাচাঁদ বাড় গ্রাম। বুধবারের এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আদি বিজেপি নেতা আশিস দাসের গোষ্ঠীর সমর্থক দুই মহিলা। সূত্রের খবর, এদিন আশিস দাস গোষ্ঠীর সঙ্গে মেঘনাদ পাল গোষ্ঠীর সংঘর্ষ হয়। এদিকে এই মেঘনাদ পাল আবার শুভেন্দু অধিকারীর ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। সংঘর্ষের পরেই মেঘনাদ শিবিরের তরফে পুলিশে অভিযোগ জানানো হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে আশিস দাস-সহ ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে নন্দীগ্রাম থানার পুলিশ। আক্রান্ত দুই মহিলা বর্তমানে চিকিৎসাধীন নন্দীগ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। যদিও গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের অভিযোগ মানতে চাননি তমলুক সাংগঠনিক জেলা বিজেপি-র সভাপতি তপন ব্যানার্জি।
এদিকে কয়েকদিন আগেই তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষের হাত ধরে বিজেপি নেতা জয়দেব দাস তৃণমূল-কংগ্রেসে যোগ দেন। তিনি যদিও ঘাসফুল শিবিরে যোগ দেওয়ার আগে এলাকায় আদি বিজেপি নেতা হিসাবেই পরিচিত ছিলেন। সূত্রের খবর, তিনি এদিন সন্ধ্যায় হাসপাতালে গিয়ে আহতদের সঙ্গে দেখা করেন। অন্যদিকে তৃণমূল নেতা তথা জেলা পরিষদের সহ সভাধিপতি শেখ সুফিয়ানের গ্রামে এই ঘটনা ঘটায় জেলার রাজনৈতিক মহলে তা আলাদা মাত্রা পেয়েছে। ঘটনা প্রসঙ্গে শেখ সুফিয়ান বলেন, “আমাদের নন্দীগ্রামে জোর করে অনেক মানুষকে বিজেপি করে দেওয়া হয়েছিল। এখন অনেক নব বিজেপি আদি বিজেপিকে মানতে পারে না, আবার অনেক আদি বিজেপি নব বিজেপিকে মানতে পারে না। এদিন বিজেপির সেই দুটি গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে।”
সাংগঠনিক জেলা বিজেপি-র সভাপতি তপন ব্যানার্জি বলেন, “আদি নব্য বলে বিজেপিতে কিছু নেই। নন্দীগ্রামের মানুষ ভারতীয় জনতা পার্টির পক্ষে আছে। কুণাল ঘোষ এখানে এসে যতই বাজার গরম করুক না কেন শুভেন্দু অধিকারী নন্দীগ্রামের বিধায়ক তথা আমাদের বিধানসভার বিরোধী দলনেতা। সেই জায়গায় তৃণমূল কংগ্রেস নতুন করে মাটি খোঁজার চেষ্টা করছে। ওরা গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জর্জরিত। তাই ওদের নতুন করে কিছু হবে বলে মনে হয় না।”