Panskura: পাঁশকুড়ায় সমবায় ভোটে ৯-০ গোল দিল TMC, গেরুয়াকে পিছনে ফেলে দ্বিতীয় বামেরা
Panskura news: সমবায় নির্বাচন ঘিরে দিনভর বেশ টান টান উত্তেজনা ছিল। শেষ পর্যন্ত সবগুলি আসনেই জয়ী হয়েছে তৃণমূল। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে সিপিএম এবং তৃতীয় স্থানে রয়েছে বিজেপি।
পাঁশকুড়া: নন্দকুমারের পর এবার পাঁশকুড়া (Panskura)। ফের সমবায় নির্বাচনে একতরফা জয়। তবে এবার চওড়া হাসি তৃণমূলের মুখে। পাঁশকুড়ার রাতুলিয়া সমবায় সমিতির নির্বাচনে সবক’টি আসনে জয় তৃণমূলের। এখানে মোট ন’টি আসন রয়েছে। তার মধ্যে তৃণমূল ও সিপিএম সব আসনে প্রার্থী দিতে পারলেও বিজেপি সবক’টি আসনে প্রার্থী দিতে পারেনি। ছয়টি আসনে প্রার্থী দিয়েছিল বিজেপি। সমবায় নির্বাচন ঘিরে দিনভর বেশ টান টান উত্তেজনা ছিল। শেষ পর্যন্ত সবগুলি আসনেই জয়ী হয়েছে তৃণমূল। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে সিপিএম এবং তৃতীয় স্থানে রয়েছে বিজেপি।
উল্লেখ্য, অতীতে এই এলাকায় সিপিএমের দাপট ছিল। সিপিএম জেলা সম্পাদক নিরঞ্জন সিহির এলাকা হিসেবে রাজনৈতিক মহলে পরিচিত ছিল রাতুলিয়া এলাকা। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এই রাতুলিয়া সমবায় তৃণমূল জিতে নেওয়া স্বাভাবিকভাবেই দলের নিচুতলার কর্মীদের আরও চাঙ্গা করবে বলেই মত জেলার রাজনীতি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল মহল। সমবায় নির্বাচনে জয়ের পর তৃণমূল সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সৌমেন মহাপাত্র বলেন, “সাংগঠনিক জেলায় যেখানেই নির্বাচন হবে, সেখানেই দেখবেন তৃণমূলের জয়জয়াকার। পাঁশকুড়াও তার ব্যতিক্রম নয়। এখানে ত্রিমুখী লড়াই হয়েছে। প্রথম স্থানে তৃণমূল। মানুষ এখনও তৃণমূলের পক্ষে রয়েছে।”
অন্যদিকে বিজেপি শিবিরের বক্তব্য, “যে সুষ্ঠুভাবে ভোট হয়েছে, এরকম ভোট যেন বাকি সমবায় সমিতির ভোটে এবং পঞ্চায়েত ভোটে যেন দেখতে পাই।” সিপিএমের তরফে আবার বলা হচ্ছে, “বিজেপির সঙ্গে আমাদের জোটের কোনও বিষয় নেই। বিজেপি আলাদাভাবে প্রার্থী দিয়েছিল। তারা অনেকাংশে আমাদের ভোট কেটেছে। সমবায় সমিতির ভোটের সঙ্গে পঞ্চায়েত ভোটের কোনও মিল নেই।”
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নন্দকুমারে বাম-বিজেপি আঁতাতের তত্ত্ব উস্কে দিয়েছিলেন তৃণমূল নেতারা। সেখানে তৃণমূলকে ঠেকাতে সমবায় বাঁচাও কমিটি নামে যৌথ মঞ্চ তৈরি করে লড়াইয়ে নেমেছিল বিরোধী পক্ষ। আর সেই ভোটে সবকটি আসনেই জয়ী হয়েছিল ওই কমিটির প্রার্থীরা। সেই নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে তীব্র জলঘোলা হয়েছিল। এবার পাঁশকুড়ার সমবায়ের ভোটে আবার পুরো উল্টো ছবি। সবকটি আসনই নিজেদের দখলে রাখল তৃণমূল।