Madan Mitra: ‘শিয়ালদহ মেট্রোর উদ্ঘাটন বন্ধ হয়ে যেত!’ কেন এমন বললেন মদন?

Sealdah Metro: মদন মিত্র বলেন, "আজ শিয়ালদহের মেট্রোর উদঘাটন বন্ধ হয়ে যেত। মদন মিত্র এই মেট্রো রেলের (কর্মী সংগঠনের) প্রেসিডেন্ট। কিন্তু আমরা বন্ধ করার জন্য আসিনি।"

Madan Mitra: 'শিয়ালদহ মেট্রোর উদ্ঘাটন বন্ধ হয়ে যেত!' কেন এমন বললেন মদন?
মহিষাদলে মদন মিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 11, 2022 | 11:39 PM

মহিষাদল : সোমবারই উদ্বোধন হয়েছে বহু প্রতীক্ষিত শিয়ালদহ মেট্রো স্টেশনের (Sealdah Metro Rail Station)। উদ্বোধন করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। সেখানে ছিলেন না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এই উদ্বোধনের পরই একরাশ ক্ষোভ উগরে দিলেন কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র (Madan Mitra)। বললেন, “আজ শিয়ালদহের মেট্রোর উদ্ঘাটন বন্ধ হয়ে যেত। মদন মিত্র এই মেট্রো রেলের (কর্মী সংগঠনের) প্রেসিডেন্ট। কিন্তু আমরা বন্ধ করার জন্য আসিনি। আমরা চাই রথের চাকা গড়গড় করে এগিয়ে চলুক। কিন্তু সেই রথ যুদ্ধের রথ নয়। সেখানে নরেন্দ্র মোদী, স্মৃতি ইরানি, অমিত শাহ নয়, সেখানে বসুন শান্তির বাণী নিয়ে জগন্নাথ, বলরাম এবং সুভদ্রা।” সোমবার মহিষাদল রাজবাড়ীর কুলদেবতা গোপাল জিউ মন্দির পরিদর্শনে এসেছিলেন বিধায়ক মদন মিত্র। সেখানেই এই মন্তব্য করেন তিনি।

সোমবার দুপুরে শিয়ালদহ মেট্রো স্টেশন চত্বর ঘুরে দেখেন স্মৃতি ইরানি। মেট্রোতেও চড়েন তিনি। উদ্বোধনের সময় কিছুটা আবেগঘন গলায় বলেছিলেন, “যেখানে আমাকে ফিতে কাটার জন্য নিয়ে গিয়েছে মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ, সেই সল্টলেক আমার দাদুর বাড়ি। আমায় বাংলার মেয়ে বলেন, বাগচী পরিবারের মেয়ে। আজ আমার দাদুর বাড়ির কাছে একটা মেট্রো যাবে তার ফিতে আমি কাটছি, এটা আমার জন্য একটা বড় সম্মান।” তবে এদিনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্মৃতি ইরানি থাকলেও মুখ্যমন্ত্রীকে দেখা যায়নি। তিনি শিয়ালদহ মেট্রো স্টেশনের উদ্বোধনের আগেই উত্তরবঙ্গের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন।

এদিকে শিয়ালদহ মেট্রো স্টেশনের উদ্বোধন ঘিরে ‘অসৌজন্যে’র অভিযোগ তুলেছেন তৃণমূল নেতারা। যদিও স্মৃতি ইরানির বক্তব্য, “আমি জানি না, কেন ওঁরা আসেননি। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের নিমন্ত্রণপত্রে তৃণমূল সাংসদ, বিধায়কদের নাম ছিল। কেন ওনারা আসেননি তার জবাব ওনারাই দিতে পারবেন।”

তবে রাজ্যের শাসক দলের তরফে ফিরহাদ হাকিম হাওড়ার নতুন টাউন হলের উদ্বোধনে গিয়ে বলেন, “যাদের পায়ের তলার মাটি নেই, তাদের এসব বলা উচিত নয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মানুষের সঙ্গে আছেন। এর আলাদা সার্টিফিকেট স্মৃতি ইরানিকে দিতে হবে না। দশ কোটি মানুষ তাঁকে ভোট দিয়েছেন। তাই মুখ্যমন্ত্রীকে অসম্মান করা মানে দশ কোটি মানুষকে অপমান করা।”