‘গদ্দারদের খুঁজে বের করে চা বওয়ানোর কাজ করান,’ শুভেন্দুর গড়ে দাঁড়িয়ে পরামর্শ সায়নীর

Sayooni Ghosh: "দলের মধ্যে গদ্দারদের চিহ্নিতকরণ করুন। প্রচীরে উঠে বসা লোকগুলোকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দিন।" সোমবার কাঁথি (Contai)-তে দাঁড়িয়ে দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে পরামর্শ যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী সায়ানী ঘোষ (Sayooni Ghosh)-এর।

'গদ্দারদের খুঁজে বের করে চা বওয়ানোর কাজ করান,' শুভেন্দুর গড়ে দাঁড়িয়ে পরামর্শ সায়নীর
কাঁথিতে সায়নী ঘোষ নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 13, 2021 | 8:46 PM

পূর্ব মেদিনীপুর: “দলের মধ্যে গদ্দারদের চিহ্নিতকরণ করুন। প্রচীরে উঠে বসা লোকগুলোকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দিন।” সোমবার কাঁথি (Contai)-তে দাঁড়িয়ে দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে পরামর্শ যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী সায়ানী ঘোষ (Sayooni Ghosh)-এর।

কাঁথি শহর দীর্ঘদিন ধরে অধিকারী খাস তালুক হিসেবে পরিচিত। সেই শহরেই ধস নামাতে পারে কাঁথি সাংগঠনিক জেলার যুব তৃণমূল কংগ্রেস। একে উদ্দেশ্য করেই ‘কাঁথি চলো’ ডাক দিয়েছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। এদিনের কাঁথির ডরমেটরি মাঠে তৃণমূলের কাঁথি সাংগঠনিক জেলা যুব তৃণমূল কংগ্রেসের প্রথম কর্মী সন্মেলন সভায় উপস্থিত ছিলেন রাজ্য যুব তৃণমূল সভাপতি সায়নী ঘোষ। তৃণমূলের যুব নেত্রী তাঁর রাজ্য সফর শুরু করলেন পূর্ব মেদিনীপুর দিয়ে। এদিন সভায় দাঁড়িয়ে সায়নীর মন্তব্য, ‘সবার আগে দলের মধ্যে থাকা গদ্দরদের চিহ্নিত করে খুঁজে বার করতে হবে। বলেন ‘গদ্দার চিনুন। ভোটের সময় বা ভোটের পর নয়, এখনই গদ্দার খোঁজা শুরু করতে হবে।’

তিনি আরও যোগ করেন, “যারা পাঁচিলের ওপর বসে আছে, ভেবেছিল বিজেপি জিতলে বিজেপির সঙ্গে, তৃণমূল জিতলে তৃণমূলের সঙ্গে… ওদের খুঁজে বের করতে হবে। ওদের দল থেকে ছেঁটে বার করতে হবে। আর যদি রাখতে হয় তহলে ওদের সঙ্গে দূরত্ব রেখে চলবেন। চা বওয়ানোর কাজ দেবেন।”

এর পর নাম না করে শুভেন্দু অধিকারীর উদ্দেশে তোপ দাগেন একুশের ভোটে তৃণমূলের তারকা প্রার্থী। বলেন, “এই মাটি বিপ্লবের মাটি। আর এই মাটিতে মমতা ব্যানার্জী দুধ কলা দিয়ে কালসাপ পুষেছিলেন। এই মাটিতে লড়াইটা ছিল ঘর শত্রু বিভীষণের বিরুদ্ধে।” তিনি যোগ করেন, “১১টার মধ্যে ৯টা গোল দিয়েছেন। দারুণ খেলেছেন। আমরা নাকি ভোট ব্যাঙ্কের রাজনীতি করি! আমরা মানুষের ভোটে জিতে আসি। আর ওরা এমএলএ, এমপি কিনে নেয়।”

সায়নীর দাবি শুভেন্দুর গড়ে বিজেপি ভাঙছে। তাঁর দাবি এরই মধ্যে ৩০ জন বিজেপি নেতা দল ছেড়ে তৃণমূলে ফিরছেন। যুব নেত্রীর কটাক্ষ, তখন ফাঁকা বাটি নিয়ে বসতে হবে বিজেপিকে।

অন্যদিকে রাজ্য যুব তৃণমূল নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্যের কটাক্ষ, “এম পি প্যাডের ওপর আর অধিকারীদের নাম থাকবে না। ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচনের পর এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে চলেছে অনেকদিন পর।” শুভেন্দু অধিকারীকে নিশানা করে দেবাংশু বলেন, “নিজের জেলাতে যে কটা আসন জিতেছেন তার মধ্যে দু’তিনটাতে ছাপ্পা মেরে। তার বড় উদাহরণ ভগবানপুর। এই আসনে ভয় দেখিয়ে ছাপ্পা মেরে জিতেছে বিজেপি।” তিনি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে ‘বড় ছাপ্পাবাজ ও ধাপ্পাবাজ’ বলে কটাক্ষ করেন। বলেন, “স্বাধীনতার পর আমরা এমন একজনকে বিরোধী দলনেতা হিসেবে পেয়েছি যার বিধায়ক হিসেবে জিতে আসা নিয়ে হাইকোর্টে মামলা চলছে। নন্দীগ্রামে উনি জিতে আসেননি। আমরা সব জানি।”

এদিনের সভায় প্রাকৃতিক দুর্যোগ উপেক্ষা করে হাজারো কর্মী সমর্থক উপস্থিত ছিলেন। যুব নেত্রী ও যুব নেতা ছাড়াও হাজির ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী অখিল গিরি, কাঁথি জেলার সভাপতি তরুণ মাইতি, বিধায়ক উত্তম বারিক ও জেলা যুব সভাপতি সুপ্রকাশ গিরি।

আরও পড়ুন: অধিকারী গড়ে তৃণমূলের শক্তি পরীক্ষা! আজ কাঁথিতে শুভেন্দু ঘনিষ্ঠের ফুল বদলের সম্ভাবনা