TMC worker injured: আক্রান্ত তৃণমূল কর্মী, খবর পেয়েই মন্ত্রীকে যাওয়ার নির্দেশ মমতার
TMC worker injured: বিজেপি কর্মীরা পথ অবরোধ করায় প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন পঞ্চায়েত প্রধান তারক জানা। এরপরই তাঁকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।
তমলুক: বিজেপির নবান্ন অভিযানের দিনে এক তৃণমূল কর্মী আক্রান্ত হওয়ায় অভিযোগ উঠল বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে। তৃণমূলকর্মীর আক্রান্ত হওয়ার খবর পেয়েই হাসপাতালে ছুটলেন মন্ত্রী সহ জেলার তৃণমূল নেতারা। মঙ্গলবার আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হন রঘুনাথপুর ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তারক জানা। সংবাদমাধ্যমে তা দেখেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশ জেলা নেতৃত্বই। সেই নির্দেশেই ছুটে যান নেতারা।
বিজেপির নবান্ন অভিযানের দিন সকাল থেকেই হলদিয়া মেচেদা ৪১ নম্বর জাতীয় সড়কে সোনাপাট্টা টোল প্লাজায় পুলিশ বিজেপির গাড়ি আটকেছিল। নবান্ন অভিযানের জন্য কোনও অনুমতি ছিল না, এই দাবি করে পুলিশ বিজেপির গাড়ি আটকে দেয়। সেই সময় বিজেপির কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে তৃণমূলের নেতাদের সংঘর্ষ হয়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফ্লেক্স ছিঁড়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। সেই সংঘর্ষেই আক্রান্ত হন তারক জানা।
আশঙ্কাজনক অবস্থায় পূর্ব মেদিনীপুর জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তারক জানাকে। পরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় খবর পেয়ে সেচমন্ত্রী মানুষ ভুঁইয়া, সৌমেন মহাপাত্র, বিপ্লব রায়চৌধুরী সহ একাধিক নেতাকে তমলুক জেলা হাসপাতালে যাওয়ার নির্দেশ দেন। সেই মতো হাসপাতালে যান নেতা ও মন্ত্রীরা। ছিলেন বিধায়ক সুকুমার দে, বিধায়ক তিলক চক্রবর্তী, তাম্রলিপ্ত পুরসভার চেয়ারম্যান দীপেন্দ্র নারায়ণ রায় সহ তৃণমূলের নেতৃত্ব।
মানুষ ভুঁইয়া বলেন, ‘এটাই কর্মীদের প্রতি নেত্রীর ভালবাসা। তিনি জানতে পেরেছেন আমাদের দেখতে যেতে বলেন।’ অন্যদিকে, সৌমেন মহাপাত্র দাবি করেন, বিজেপির ২৫-৩০ জন মিলে তারক জানাকে মারধর করেছে। এই ঘটনাকে বর্বরোচিত বলে উল্লেখ করে সৌমেন মহাপাত্র বলেন, ‘বিজেপির কাছ থেকে এর থেকে বেশি কিছু আশা করা যায় না। রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করব। যদি ভেবে থাকে এ ভাবে দমিয়ে দেবে, তাহলে সেটা দুরাশা।’