Nandigram TMC: গোষ্ঠী কোন্দলের জের, প্রশাসনিক সভা থেকে ‘প্রিয় পাত্রকে’ ধমক মুখ্যমন্ত্রীর
Purba Medinipur: রাজ্য জুড়ে দলের অন্দরের সমীক্ষায় দেখা যায় পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বহু জায়গায় তীব্র অশান্তি চলছে। কোলাঘাট, তমলুক, নন্দকুমার, হলদিয়া, নন্দীগ্রাম, খেজুরি,কাঁথি, রামনগর,এগরা সহ একাধিক জায়গায় অশান্তি খবর পাওয়া গিয়েছে।
পূর্ব মেদিনীপুর: সামনে পঞ্চায়েত ভোট। তার আগে পূর্ব মেদিনীপুরের একাধিক জায়গায় ক্ষোভ তৈরি হচ্ছে শাসকদলের অন্দরে। নতুন ব্লক সভাপতিকে পছন্দ হয়নি তৃণমূল কর্মীদের একাংশের। আর এই নিয়েই চড়ছে পারদ। সংগঠিত হয়েছে বিক্ষোভ। যা ঠেকাতে হিমসিম খেতে হচ্ছে জেলা নেতৃত্বদের। আর এই ক্ষোভ-বিক্ষোভের মধ্যে নাম জড়িয়েছে একুশের ভোটের সময় দাঁড়ানো মুখ্যমন্ত্রীর নির্বাচনী এজেন্ট শেখ সুফিয়ানেরও। এই খবর তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কানে পৌঁছতেই কড়া হয়েছেন তিনি। যার কারণে মঙ্গলবারের প্রশাসনিক সভা থেকে নিজের ‘প্রিয় পাত্রকে’ খানিক ধমকও দিতে শোনা গেল তাঁকে।
রাজ্য জুড়ে দলের অন্দরের সমীক্ষায় দেখা যায় পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বহু জায়গায় তীব্র অশান্তি চলছে। কোলাঘাট, তমলুক, নন্দকুমার, হলদিয়া, নন্দীগ্রাম, খেজুরি,কাঁথি, রামনগর,এগরা সহ একাধিক জায়গায় অশান্তি খবর পাওয়া গিয়েছে। বিশেষ করে রাজ্য নেতৃত্বের নজর হাই প্রোফাইল বিধানসভা নন্দীগ্রাম। ব্লক নেতৃত্ব বদলের তালিকা প্ৰকাশ করতেই শুরু বিক্ষোভের আগুন। নন্দীগ্রাম ১, নন্দীগ্রাম ২ ব্লকের ব্লক সভাপতি যাঁদের করা হয়েছে তাদের গত বিধানসভায় বিজেপি সঙ্গে অন্দরে যোগ রয়েছে বলে দলের একাংশ কর্মীদের মত। তাই নিয়ে রীতিমতো বিগত ব্লক সভাপতি পরিবর্তন করে নব সভাপতি যাঁরা এসেছেন সেই সব ব্যক্তির বিরুদ্ধেই এমন ক্ষোভ জানিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন বিগতদিনে নন্দীগ্রামের তৃণমূল কর্মীরা। রীতিমত সাত দিনের একটি সময় সীমাও বেঁধে দেওয়া হয় দুটি ব্লকের পক্ষ থেকে। এবং বলা হয় সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে এমন সিধান্তকে পুনরায় বিবেচনা করতে হবে।
গত ১১ তারিখ নন্দীগ্রামে তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে কালীঘাটে বৈঠক হয় বলে জানা যায়। আর এই সব ঘটনা মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচনী এজেন্ট শেখ সুফিয়ানের নেতৃত্বেই হওয়ার কারণে দলের সুপ্রিমো তীব্র অসন্তুষ্ট হয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে।
দলীয় সূত্রে খবর তিন দিনের সফরে দুই মেদিনীপুর সফরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এলেও বিশেষ নজর ছিল ২৩ সালের পঞ্চায়েত নিয়েই। এর পাশাপাশি তৃণমূলের অন্দরের ক্ষোভ নিয়েও জানতে চান মমতা।পশ্চিম মেদিনীপুরে বৈঠকে রীতিমতো ধমক দেন তাঁর পুরোনো দিনের প্রিয় পাত্র শেখ সুফিয়ানকে বলে সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে। তবে নেত্রীর ধমক খেয়ে নিজেদের অন্দরে ক্ষোভ চেপে রাখবেন না নন্দীগ্রাম থাকবে নন্দীগ্রামেই সেটাই এখন দেখার।