TMC: অভিষেকের সভার আগে ময়নায় সমবায় নির্বাচনে বড় জয় তৃণমূলের, ৬৩ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়

TMC: বিরোধীরা কোনও প্রার্থী না দেওয়ায় ৭৮ টি আসনের মধ্যেই ৭৮ টি আসনে জয়লাভ করে তৃণমূল-কংগ্রেস। জয়ের পরেই সবুজ আবির মেখে আনন্দে মেতে উঠলেন তৃণমূল সমর্থকরা।

TMC: অভিষেকের সভার আগে ময়নায় সমবায় নির্বাচনে বড় জয় তৃণমূলের, ৬৩ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 02, 2022 | 11:31 PM

ময়না: বছর ঘুরলেই পঞ্চায়েত ভোট। শুরু হয়ে গিয়েছে সলতে পাকানো। তার আগে সমবায়গুলিতে শক্তি পরীক্ষায় নেমে পড়েছে শাসক থেকে শুরু করে বিরোধীরা। কিছুদিন আগে নন্দকুমারে ‘রাম-বাম’ জোটের জয়জয়কার দেখতে পাওয়া গিয়েছিল। নন্দকুমার-বহরমপুর সমবায় সমিতির নির্বাচনে মোট আসন সংখ্যা ছিল ৬৩। সবক’টি আসনেই জয়ী হয় পশ্চিমবঙ্গ সমবায় বাঁচাও কমিটি। এই কমিটিতেই একযোগে লড়াই করেছিলেন বাম-বিজেপির প্রার্থীরা। তবে মহিষাদলের সমবায়ে একই মডেলে বিরোধীরা লড়াই করলেও সাফল্য আসেনি।  এরমধ্যে এবার ময়না কের চিরঞ্জিবপুর সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করল ঘাসফুল শিবির। শনিবার কাঁথিতে সভা করতে আসছেন সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর আগে ময়নায় ঘাসফুল শিবিরের এই জয় দলের কর্মী সমর্থকদের নতুন করে অক্সিজেন জোগাবে বলে মনে করা হচ্ছে। 

সূত্রের খবর, বিরোধীরা কোনও প্রার্থী না দেওয়ায় ৭৮ টি আসনের মধ্যেই ৭৮ টি আসনে জয়লাভ করে তৃণমূল-কংগ্রেস। জয়ের পরেই সবুজ আবির মেখে আনন্দে মেতে উঠলেন তৃণমূল সমর্থকরা। মোট ভোটার সংখ্যা ছিল ১৯২৩ জন। মোট সাতটি গ্রামের সদস্য রয়েছে এই সমিতিতে। আসনান, ঘোড়াবেড়িয়া, চিরঞ্জিতপুর, মির্জানগর, বল্লভপুর, কালিকাদাড়ি এবং শ্যামপুর এই সাতটি গ্রামের সদস্যরাই মূলত রয়েছেন। এরমধ্যে  আসনান গ্রামে আসন সংখ্যা ছিল ৯টি, বল্লভপুর গ্রামে আসন সংখ্যা ছিল ১৪টি, শ্যামপুর গ্রামে আসন সংখ্যা ছিল ১৯টি, কালিকাদাড়ি গ্রামে আসন সংখ্যা ছিল ১৩ টি, চিরঞ্জীবপুর গ্রামে আসন সংখ্যা ৮  টি, ঘোড়াবেড়িয়া গ্রামে ৩ টি, মির্জানগর গ্রামে আসন সংখ্যা ছিল ১২ টি। 

পাশাপাশি প্রত্যেক গ্রামে একটি করে মহিলাদের জন্য আসন সংরক্ষিত ছিল। এছাড়া একটি করে তফসিলি জাতি, উপজাতিদের জন্য সংরক্ষিত ছিল। জয়ের পর নৈছনপুর এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সন্দীপন জানা বলেন, “আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস  বিপুল ভোটে সমস্ত আসনে জয়লাভ করবে। তারই শুভারম্ভ হিসেবে এই সমবায় সমিতির জয়।” তবে কটাক্ষবাণ শানিয়েছে পদ্ম শিবির। বিজেপি তমলুক জেলা সভাপতি তপন ব্যানার্জি বলেন, “সমবায় সমিতিতে শাসকদল তাঁদের সদস্য সংখ্যা বাড়িয়ে রেখেছি। বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের সদস্য পদ দেওয়া হয়নি। নির্বাচনের নামে আদতে প্রহসন হচ্ছে।” সিপিআইএমের জেলা সম্পাদক নিরঞ্জন সিহি বলেন, “সন্ত্রাস করে মনোনয়ন জমা দিতে দেওয়া হয়নি আমাদের কর্মীদের। তাই ওরা জিতেছে। ওখানে গণতন্ত্রের হত্যা করা হয়েছে।”