জিতেও অধিকার খোয়ালেন অধিকারী! শান্তিকুঞ্জে অদ্ভুত নীরবতা
শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) হঁশিয়ারি অনুযায়ী, ২০০ আসন নিয়ে বাংলায় ক্ষমতায় আসা বিজেপি আটকে গিয়েছে দু' অঙ্কের গেরোয়। কাঁথির দুটি আসনে জিতেছে বিজেপি। কিন্তু পূর্ব মেদিনীপুরে বড়সড় ধাক্কা 'অধিকারী-গড়' মিথে!
পূর্ব মেদিনীপুর: তিনি শুভেন্দু অধিকারী, ইন্দ্রপতনের কাণ্ডারি। স্বল্প ব্যবধানে হলেও হারিয়েছেন রাজ্য়ের মুখ্যমন্ত্রীকে। তবু শুনশান ‘শান্তিকুঞ্জ’। করকুলির রাস্তা একেবারে ফাঁকা। কেন এমন উলটপুরাণ?
গত কয়েক মাস ধরে রাজ্য রাজনীতির আলোচনায় বারবার উঠে এসেছে একটি বাড়ির নাম, ‘শান্তিকুঞ্জ’। এই বাড়ির পদত্যাগী বিধায়ক শুভেন্দুর সঙ্গে সঙ্গে পরিবারের বাকি দুই সাংসদের রাজনৈতিক অবস্থান কী হবে, তা নিয়ে চলেছে সীমাহীন জল্পনা। রাজনৈতিক নেতা থেকে কৌতূহলী সাংবাদিক, গত কয়েক মাস ধরে এই বাড়ির সামনে ভিড় লেগেই থাকত। একুশের ভোটের ফল বেরিয়ে পার হয়েছে ১২ ঘণ্টা। তাঁর চ্যালেঞ্জ অনুযায়ী, হাফ লাখ ভোটে না হলেও স্বল্প ব্যবধানে তৃণমূল নেত্রীকে পরাজিত করেছেন শুভেন্দু। কিন্তু তার পরেও অদ্ভুত নীরবতায় ডুবে শান্তিকুঞ্জ।
এবার রাজ্যজুড়ে কার্যত তৃণমূলের অশ্বমেধের ঘোড়া ছুটেছে। আর শুভেন্দুর হঁশিয়ারি অনুযায়ী, ২০০ আসন নিয়ে বাংলায় ক্ষমতায় আসা বিজেপি আটকে গিয়েছে দু’ অঙ্কের গেরোয়। কাঁথির দুটি আসনে জিতেছে বিজেপি। কিন্তু পূর্ব মেদিনীপুরে বড়সড় ধাক্কা ‘অধিকারী-গড়’ মিথে!
আরও পড়ুন: আসুক না…দলত্যাগীদের স্বাগত: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
তাই নিজে জিতলেও অধিকারী পরিবারের বাসভবনে নেই উচ্ছ্বাসের বাতাবরণ। বরং বাড়ির সামনে দিয়ে যাওয়া করকুলির রাস্তায় দেখা গেল তৃণমূল শিবিরের আনন্দ উৎসব। শোনা গেল অধিকারীদের উদ্দেশে ভেসে আসা কটাক্ষও। একদিনেই শান্তিকুঞ্জের সামনের চেনা ছবি যেন উধাও। তাই শুভেন্দু জিতলেও যেন গড় খুইয়ে বসলেন কাঁথির অধিকারীরা।