Suvendu on Mamata: শান্তিকুঞ্জের ছাদে রাত কাটিয়েছিলেন, নন্দীগ্রাম না হলে কোনওদিন মুখ্যমন্ত্রী হতেন না মমতা : শুভেন্দু
Purba Medinipur: রবিবার শুভেন্দু অধিকারীর বাড়ি শান্তিকুঞ্জে যান রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সেখানে শিশির অধিকারীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তিনি।
পূর্ব মেদিনীপুর: লক্ষ্মীপুজোর সন্ধ্যায় কাঁথির শান্তিকুঞ্জে দাঁড়িয়ে সুর চড়ালেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর কথায়, এই শান্তিকুঞ্জে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এসে থেকেছেন। বলেন, ২০০৮ সালের ১৩ মার্চ এই বাড়ির ছাদে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। একইসঙ্গে তাঁকে বলতে শোনা যায়, “নন্দীগ্রাম না হলে তো দিদি থেকে দিদিমা হতেন। কোনওদিন মুখ্যমন্ত্রী হতেন না। এই বাড়িতে রাত কাটিয়ে নন্দীগ্রামের মাটি নিয়ে কলকাতায় গিয়ে মিছিল করেছিলেন ১৪ মার্চ। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে।”
রবিবার শান্তিকুঞ্জে যান বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তৃণমূল সাংসদ শিশির অধিকারীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তা নিয়ে গুঞ্জন শুরু হতেই শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “এতে রাজনীতি খোঁজার কোনও কারণ নেই। আমার মা, বাবার সঙ্গে উনি সৌজন্য বিনিময় করতে এসেছেন। উনিও তাঁদের পুত্রের মতোই। অন্য কারণ খোঁজার দরকার নেই।” এরপরই মমতার কথা টেনে এনে বিধানসভার বিরোধী দলনেতা বলেন, “আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে বাড়ি থেকে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন…, এই বাড়িতে ছিলেন উনি। ২০০৮ সালের ১৩ মার্চ এই বাড়ির ছাদে ছিলেন রাতে। এই বাড়ির ছাদেই। সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই বাড়িতে তাঁর সিআইডি, পুলিশ, সামনে সিসিটিভি, পিছনে সিসিটিভি। কারা কারা এই বাড়ির সামনে থেকে মিছিল করে আমার বাবার ৮৪ বছর বয়স, আমার মায়ের ৭৫ বছর বয়স তাঁদের বিব্রত করেছে এক বছরের বেশি সময় ধরে।”
এ প্রসঙ্গে কাঁথি সাংগঠনিক জেলার তৃণমূল যুব সভাপতি সুপ্রকাশ গিরি বলেন, “নন্দীগ্রামের আন্দোলনে শুভেন্দু অধিকারীর ভূমিকা কত শতাংশ ছিল আমি জানি না। কিন্তু নন্দীগ্রামের আন্দোলন শুধুমাত্র নন্দীগ্রামে হয়েছে এটা ঠিক নয়। নন্দীগ্রামে একটা গণ আন্দোলন হয়েছে, সেই আন্দোলনের আঁচ সারা বাংলায় ছড়ায়। সারা বাংলায় কি শুভেন্দু অধিকারী আন্দোলন করেছিলেন? তৃণমূলের কর্মীরা সে আন্দোলন করেছিলেন, তার নেতৃত্বে ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই বাম সরকার পড়ে যায়। সিপিএম পিছু হঠতে বাধ্য হয়।”