Sukanta meet Sisir Adhikari: কোজাগরীর সন্ধ্যায় শান্তিকুঞ্জে শিশির-সুকান্তের সাক্ষাৎ, শুভেন্দু বললেন, ‘রাজনীতি খুঁজবেন না’

Purba Medinipur: এই সাক্ষাৎ নিয়ে ইতিমধ্যেই জোর চর্চা শুরু হয়েছে। তৃণমূল বলছে, অধিকারী পরিবারের সকলেই বিজেপিতে।

Sukanta meet Sisir Adhikari: কোজাগরীর সন্ধ্যায় শান্তিকুঞ্জে শিশির-সুকান্তের সাক্ষাৎ, শুভেন্দু বললেন, 'রাজনীতি খুঁজবেন না'
শান্তিকুঞ্জে সুকান্ত মজুমদারকে অভ্যর্থনা শুভেন্দু অধিকারীর।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 09, 2022 | 9:27 PM

পূর্ব মেদিনীপুর: লক্ষ্মীপুজোর সন্ধ্যায় কাঁথির শান্তিকুঞ্জে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। রবিবার শুভেন্দু অধিকারীর বাড়িতে যান বালুরঘাটের সাংসদ। সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন তৃণমূল সাংসদ শিশির অধিকারীর সঙ্গে। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই জোর চর্চা শুরু হয়েছে। যদিও শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “এতে রাজনীতি খোঁজার কোনও কারণ নেই। আমার মা, বাবার সঙ্গে উনি সৌজন্য বিনিময় করতে এসেছেন। উনিও তাঁদের পুত্রের মতোই। অন্য কারণ খোঁজার দরকার নেই। আমার বাবার ৮৪ বছর বয়স। আমার মায়ের ৭৫ বছর বয়স।” একইসঙ্গে এদিন শুভেন্দু অধিকারীকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘সুকান্তবাবু’র ইচ্ছা ছিল তাঁদের সঙ্গে দেখা করার। তাই কোজাগরির সন্ধ্যায় আসেন শান্তিকুঞ্জে। অন্যদিকে কাঁথি সাংগঠনিক জেলার তৃণমূল যুব সভাপতি সুপ্রকাশ গিরি বলেন, বিজেপির লোকের বাড়িতে বিজেপির লোক এসেছে। এতে আর অবাক হওয়ার কী আছে।

এদিন সুকান্ত মজুমদার বলেন, “এটা সৌজন্য সাক্ষাৎ। আমি অনেক আগে থেকেই বলেছিলাম আসব। যাঁদের হাত ধরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার বাম-শাসন ব্যবস্থাকে উৎখাত করতে সমর্থ হন, তাঁদের মধ্যে শিশির অধিকারী একজন। স্বাভাবিকভাবেই তাঁর মতো রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের সঙ্গে সৌজন্যসাক্ষাৎ করা বা বিজয়ার প্রণাম করতে পারাটা আমার জন্য সৌভাগ্যের।” যদিও কাঁথি সাংগঠনিক জেলার তৃণমূল যুব সভাপতি সুপ্রকাশ গিরির বক্তব্য, “আমরা প্রথম থেকেই দাবি করেছি ওই পরিবারের সকলেই বিজেপি করেন। শিশিরবাবু আর দিব্যেন্দুবাবু পদ চলে যাওয়ার ভয়ে তৃণমূলের নির্বাচিত সাংসদ হয়ে পদ আঁকড়ে রাখার জন্য এবং তৃণমূলের দয়ায় যে সাংসদ ভাতা পান তা ধরে রাখার জন্য পদত্যাগ করতে পারছেন না।”

অন্যদিকে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, “বোঝাই যাচ্ছে শুভেন্দুবাবু বা শিশিরবাবু সব দলবদলু। তাই এতদিন দেখাই হয়নি। হঠাৎ দেখা হচ্ছে। সুকান্তবাবু এতদিন বিজেপি করার পর লোক চিনছেন, দেখছেন। শুধু সুকান্তবাবু মনে রেখে দিন যাকে এত কথা বলছেন সেই শিশির অধিকারী প্রথম কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হয়েছেন এবং একবারই হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দয়ায়। তৃণমূল কংগ্রেসের সিম্বল ছাড়া কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হওয়া যায়নি। শুভেন্দু অধিকারী সাংসদ হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দয়ায়। সৌমেন্দু অধিকারী চেয়ারম্যান হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দয়ায়। দিব্যেন্দু অধিকারী সাংসদ হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দয়ায়। তৃণমূল কর্মীদের আবেগ, শহিদদের আত্মত্যাগ ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লড়াই সেটাকে ব্যবহার করে সেই প্রতীকে যাঁরা জিতেছেন, এখনও তো বিজেপির মঞ্চে বসে আছেন। সেই প্রতীকটা ছাড়তে পারছেন না। তাঁদের আবার বড় বড় কথা।”