ডাউনি অপবাদে দুই পরিবারের বচসা, চলল ‘গুলি’, উত্তেজনা পুরুলিয়ায়
ডাউনি (Witch) অপবাদ দেওয়াকে কেন্দ্র করে বচসা। পুরুলিয়ায় (Purulia) এক যুবককে লক্ষ্য করে গুলি চালনার অভিযোগ।

পুরুলিয়া: ডাইনি (Witch) আখ্যা দেওয়াকে কেন্দ্র করে গুলি চলল পুরুলিয়ার (Purulia) টামনা থানার কোটলই গ্রামে। গুলিবিদ্ধ এক যুবক, আহত হয়েছেন এক মহিলাও।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত কয়েকদিন ধরেই এই গ্রামে সুভাষ কুমারের পরিবারের সঙ্গে ঝামেলা হচ্ছিল গ্রামেরই চৈতু কুমারের। অভিযোগ, চৈতু সুভাষ কুমারের পরিবারের এক মহিলাকে ডাইনি বলেছিল। বৃহস্পতিবার সুভাষ টামনা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
শুক্রবার সকালে এ খবর প্রকাশ্যে আসতেই ফের দুই পরিবারের মধ্যে উত্তেজনা বেড়ে যায়। প্রথমে কথা কাটাকাটি, পরে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন চৈতু ও সুভাষ। অভিযোগ, আচমকাই চৈতু পকেট থেকে বন্দুক বার করে গুলি চালায়। গুলি লাগে সুভাষ কুমারের গায়ে। সংঘর্ষে আহত হন এক মহিলা সমেত আরও দুজন। সুভাষ কুমারকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় পুরুলিয়া সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
তবে প্রশ্ন উঠছে, একবিংশ শতাব্দীতে দাঁড়িয়ে ডাউনি তত্ত্ব এখনও কেন এভাবে গ্রাম বাংলার বুকে মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে? এ বিষয়ে একেবারে প্রত্যন্ত গ্রামের মানুষগুলোর সঙ্গে মিশে বিষয়টি বোঝার চেষ্টা করেছেন আমাদের সাংবাদিক তন্ময় প্রামাণিক। কেন ডাউনি তত্ত্ব? তাঁর মতে, এক্ষেত্রে মূলত তিনটি বিষয় উঠে আসছে। প্রথমত দেখা গিয়েছে, জমিজমা সংক্রান্ত পারিবারিক কোনও বিবাদের জেরে কাউকে ডাইনি অ্যাখ্যা দেওয়া হচ্ছে। দ্বিতীয় কারণ ইর্ষা।
আরও পড়ুন: বিজেপি করার মাশুল? উলঙ্গ করে পিটিয়ে নেতার দু’পা ও হাত ভাঙার অভিযোগ
গ্রামেরই মধ্যে আর্থিক দিক থেকে কেউ কিছুটা এগিয়ে গেলে তাঁর পরিবারের সদস্যকেও ডাউনি অ্যাখ্যা দেওয়ার একটা প্রবণতা রয়েছে। এরই মধ্যে গ্রামে কেউ অসুস্থ হলে তো আর কথাই নেই। মোটা অঙ্কের জরিমানা আদায়ের ক্ষেত্রে কাউকে ডাউনি অ্যাখ্যা দেওয়ার প্রবণতা রয়েছে। আসলে একটা সমাজের অসুখ। তবে পুরুলিয়ার এ দিনের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত দু জনকে আটক করা হয়েছে বলে পুলিশ সুপার জানিয়েছেন।





