Minor Boy Drowned: পুকুরে ডুব দিতেই পায়ে কী যেন একটা ঠেকল, পরপর টেনে তোলা হল তিনজনকে…
Purulia: পরিবারের লোকজন জানান, বাড়িতে বলে গিয়েছিল পুকুরে স্নান করতে যাচ্ছে। সকাল ১০টা সাড়ে ১০টা নাগাদ তারা বেরোয়।
পুরুলিয়া: এলাকার পুকুরে স্নান করতে গিয়েছিল তিন কিশোর। হঠাৎই চিৎকার করতে করতে এক মহিলা এসে তাদের বাড়িতে খবর দেন, তিনজনই ডুবে গিয়েছে পুকুরে। যে যা কাজ করছিল, সব ফেলে রেখে ছোটে। হইচই শুনে পুকুরধারে ভেঙে পড়ে গোটা পাড়া। অনেকেই জলেও নেমে পড়েন। বহু খোঁজের পর একজনকে পাওয়া যায়। পরে আরও দু’জনের মৃতদেহ উদ্ধার করেন পাড়ার লোকেরাই। শুক্রবার এই ঘটনায় শোকস্তব্ধ পুরুলিয়ার বাঘমুণ্ডী (Purulia Baghmundi) থানার বীরগ্রাম জিলিংয়ের মোমিন পাড়া। একই পাড়ার এমন তিনটে জলজ্যান্ত ছেলের সলিল সমাধি, শিউরে উঠছে এলাকার লোকজন। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, জিলংয়ের থেকে কিছু দূরে মাহাতো পুকুরে মোমিন পাড়ার তিন কিশোর শুক্রবার স্নান করতে গিয়েছিল। সেখানেই তারা ডুবে যায় তিনজন। এলাকার লোকজন জানান, উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তিনজনকেই মৃত বলে ঘোষণা করে। নিহতদের নাম শাহিদ মোমিন (১৩), আমানুন মোমিন (১২) ও সফিক মোমিন (১১)।
পরিবারের লোকজন জানান, বাড়িতে বলে গিয়েছিল পুকুরে স্নান করতে যাচ্ছে। সকাল ১০টা সাড়ে ১০টা নাগাদ তারা বেরোয়। এদিকে দীর্ঘক্ষণ বাড়ি না ফেরায় খোঁজখবরের জন্য বের হচ্ছিল অভিভাবকরা। এরইমধ্যে খবর আসে পুকুরে তিন কিশোর ডুবে গিয়েছে। এক কিশোরের দাদা জানান, “আমরা মাঠে কাজ করছিলাম। খবর পেয়ে ছুটে যাই। বহু খোঁজ করার পায়ে কী যেন একটা ঠেকল। একজনকে পাই। এরপর বেশ কয়েকবার ডুব দিতে দিতে আরও একজনকে পাওয়া যায়। বহু তল্লাশির পর তৃতীয়জনকেও পাওয়া যায়। অনেকে মিলে জলে নেমে খোঁজ করছিলাম। একেবারেই ছোট ওরা। বন্ধুরা মিলে স্নানে গিয়ে এই বিপদ হল।”
স্থানীয় এক বাসিন্দা লালা গোপ বলেন, “আমরা যে যার কাজে ছিলাম। এরইমধ্যে কানে যায় পাড়ার তিনটে ছেলে জলে ডুবে গিয়েছে। ছেলেপুলে সব দৌড়াদৌড়ি করে ছুটে যায় পুকুরঘাটে। আমরাও যাই। সকলে পুকুরে নামি। অনেক খুঁজে একজনকে পাওয়া যায়। কিছুক্ষণ পর আরও একজন উদ্ধার হয়। শেষে তিনজনই উদ্ধার হয়েছে।” দেহগুলি ময়নাতদন্তের জন্য পুরুলিয়ায় পাঠানো হচ্ছে।