Ramchandra Panda: ফের পুলিশি জেরার মুখে রাম পণ্ডা, তদন্তে সহযোগিতার আশ্বাস ঠিকাদারের

দুপুর সাড়ে ৩টেয় কাঁথি থানায ঢোকেন অধিকারী পরিবার ঘনিষ্ঠ-রাম পণ্ডা। দীর্ঘ দু-ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর বিকেল সাড়ে ৫টায় থানা থেকে বেরোন তিনি।

Ramchandra Panda: ফের পুলিশি জেরার মুখে রাম পণ্ডা, তদন্তে সহযোগিতার আশ্বাস ঠিকাদারের
কাঁথি থানায় রাম পণ্ডা।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 13, 2023 | 10:15 PM

কাঁথি: রাম পণ্ডাকে নিয়ে টানাপোড়েন অব্যাহত। আবারও থানায় ডাকা হল বিজেপির কাঁথি নগর মণ্ডলের সম্পাদক তথা অধিকারী পরিবার-ঘনিষ্ঠ রামচন্দ্র পণ্ডাকে। এবার রাস্তা তৈরি নিয়ে ১০ কোটি টাকার দুর্নীতি মামলার সাক্ষ্য হিসাবে কাঁথি থানায় হাজিরা দিলেন তিনি। প্রায় দু-ঘণ্টা ধরে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে কাঁথি থানার পুলিশ।

জানা গিয়েছে, এদিন বিকেল সাড়ে ৩ টে নাগাদ কাঁথি থানায় হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয় বিজেপি নেতা তথা কাঁথি পুরসভার ঠিকাদার রামচন্দ্র পণ্ডাকে। সেই নির্দেশ মোতাবেক নির্দিষ্ট সময়ে আইনজীবীকে সঙ্গে নিয়ে কাঁথি থানায় হাজিরা দেন রামচন্দ্র। তারপর দীর্ঘ দু-ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদের পর বিকেল সাড় ৫টা নাগাদ থানা থেকে বেরোন তিনি। থানা থেকে বেরিয়ে সৌমেন্দু অধিকারী-ঘনিষ্ঠ রাম পণ্ডা বলেন, “তদন্তকারীদের সবরকম প্রশ্নের উত্তর দিয়েছি, যতটা আমার মনে ছিল। আগামী দিনেও এই তদন্তে সাহায্য করব। আমাকে যদি আবার ডাকা হয়,ডাকবেন, আমি আসব।” কাঁথি থানার তদন্তকারীরা তাঁর সঙ্গে ভাল ব্যবহার করেছেন বলেও জানিয়েছেন এই বিজেপি নেতা।

পুলিশ সূত্রে খবর, কাঁথি পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে প্রাক্তন সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় সাংসদ কোটার টাকায় রাস্তা করার ক্ষেত্রে দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ। এই অভিযোগে ঠিকাদার নারায়ণ গিরিকে আগে গ্রেফতার করা হয়েছিল। বর্তমান উনি জামিনে রয়েছেন। কেস নম্বর-৪৭৫/২২ এ ১৬০ নোটিশে এদিন রাম পণ্ডাকে ডাকা হয়। সাংসদ কোটায় এই রাস্তায় দুর্নীতি অর্থের পরিমাণ ১০ কোটি টাকা। কাঁথির বাসিন্দা সেক কুদ্দুসের অভিযোগের ভিত্তিতে এই দুর্নীতির মামলা রুজু হয়।

রামচন্দ্র পণ্ডাকে এদিন তলব করার কারণ সম্পর্কে কাঁথি মহকুমা পুলিশ আধিকারিক সোমনাথ সাহা বলেন, “কাঁথি পুর এলাকার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে একটি রাস্তা দুর্নীতির মামলায় সাক্ষী হিসাবে ১৬০ নোটিশের ভিত্তিতে রামচন্দ্র পণ্ডাকে ডাকা হয়েছিল আজ। কোর্টের নির্দেশক্রমে জিজ্ঞাসাবাদ করে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়।”

প্রায় দু-ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদের পর থানা থেকে বেরিয়ে রাম পণ্ডা আরও বলেন, “মহামান্য কোর্টের নির্দেশে আমাকে দু ঘণ্টা সময় দিতে বলা হয়েছিল CP ৪৭৫/২২ কেসে জিজ্ঞাসাবাদ করবেন বলে। সেই মতো আমি এদিন সাড়ে ৩টের সময় আমার আইনজীবীকে নিয়ে কাঁথি থানায় আসি। সেক কুদ্দুস মামলাকারীর অভিযোগের ভিত্তিতেই আমাকে ডাকা হয়। আমার যতটা মনে ছিল তা আমি বলেছি। থানায় ঢুকেছিলাম ৩টে ৩০মিনিটে এবং বেরোলাম ৫টা ৩০ মিনিটে।”

প্রসঙ্গত, কাঁথি পুরসভার টেন্ডার দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত ঠিকাদার রাম পণ্ডা। এই অভিযোগে ইতিমধ্যে তিনি জেল খেটেছেন। তারপর জেল থেকে জামিনে ছাড়া পেয়েই পুলিশ থেকে নবান্নের সরকারি আধিকারিকদের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করেন তিনি। তাঁকে বন্দুকের নলের সামনে বসিয়ে মিথ্যা বয়ান দিতে জোর করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী-ঘনিষ্ঠ হওয়ার জন্যই তাঁর বিরুদ্ধে খাঁড়া নেমে এসেছে বলে অভিযোগ করেন রাম পণ্ডা। তাঁর সেই অভিযোগের পরই কাঁথি থানার আইসি অমলেন্দুল বিশ্বাসকে নিজাম প্যালেসে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা, সিবিআই। এবার আবার আরও একটি মামলায় থানায় ডাক পড়ল রাম পণ্ডার। গোটা ঘটনার পিছনে শাসক ও বিরোধী দলের রাজনৈতিক চক্রান্ত চলছে বলেও অভিযোগ উঠছে।