Mimi Chakraborty: মহিলা ও পুরুষ রোগীদের মাঝে শুধু দরমার বেড়া! হাসপাতালে গিয়ে চক্ষু চড়কগাছ মিমি-র
Mimi Chakraborty: ওয়ার্ডের পর হাসাপাতালের ক্যান্টিনও পরিদর্শন করেন সাংসদ। নিজে হাতে নিয়ে চাল, ডাল, সবজি পরীক্ষা করেন তিনি।
ভাঙড়: ভাঙড়ে হাসাপাতাল পরিদর্শন করলেন যাদবপুরের তৃণমূল সাংসদ মিমি চক্রবর্তী। শুক্রবার তিনি ভাঙড় ২ নম্বর ব্লকের জিরানগাছা গ্রামীণ হাসাপাতালে যান ও সবদিক ঘুরে দেখেন। প্রথমেই ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক সহ রোগী কল্যাণ সমিতির সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। তারপর বিভিন্ন ওয়ার্ড, এমনকী ক্যান্টিন পর্যন্ত ঘুরে দেখেন। কিন্তু হাসপাতালের ওয়ার্ডের ভিতর প্রবেশ করে কার্যত চক্ষু চড়কগাছ হয়ে যায় সাংসদসের। একই ঘরে একদিকে পুরুষ রোগী, আর একদিক মহিলা রোগীদের রাখা। মাঝে একটা দরমার বেড়া। কেন এমন অবস্থা? হাসপাতালের চিকিৎসক হিরণ্ময় বসু সাংসদকে জানান, নতুন বিল্ডিং-এর কাজ চলছে, তাই আপাতত একই সঙ্গে রোগীদের রাখতে হচ্ছে। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, রাতে কোনও পুরুষ রোগীকে ওই ঘরে রাখা হয় না মহিলা রোগীদের নিরাপত্তার কথা ভেবে। এভাবে রোগী পরিষেবা দেওয়ায় কঠিন ব্যপার বলে মন্তব্য করেন সাংসদ।
ওয়ার্ডের পর হাসাপাতালের ক্যান্টিনও পরিদর্শন করেন সাংসদ। নিজে হাতে নিয়ে চাল, ডাল, সবজি পরীক্ষা করেন তিনি। মাত্র ৪৬ টাকায় রোগীদের সুষম খাবার কীভাবে দেওয়া হয়, তা দেখে তিনি অবাক হন। যাঁরা রান্না করেন, তাঁদের সঙ্গে কথা বলেন মিমি। তাঁরা কত টাকা পান, জানতে চান সে কথা। ক্যান্টিনের কর্মীরা জানান তাঁরা মাসে ৪ হাজার টাকা করে পান। টাকার ব্যাপারটা তিনি দেখবেন বলে আশ্বস্ত করেন মিমি। সেই সঙ্গে এও বলেন, যাতে খাবারে আর একটু স্বাদ আনা যায়।
হাসাপাতালের চারপাশে নোংরা আবর্জনা ও ঝোপ ঝাড় দেখে উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি। ১০০ দিনের কাজের মাধ্যমে ঝোপ ঝাড় পরিষ্কার করার নির্দেশ দেন প্রধানকে। আরাবুল ইসলামকে পাশে নিয়ে এদিন মিমি বলেন, ‘ভাঙড়ের মানুষ খুব শান্তিপ্রিয়। হাতে গোনা কয়েকজনের জন্য ভাঙড়ের বদনাম হচ্ছে। কিছু মানুষের বদ মেজাজের জন্য, কিছু মানুষের হিংসার জন্য, তাঁদের রগচটা কথাবার্তার জন্য ভাঙড়ের বদনাম হচ্ছে।’ এদিন মিমি, আরাবুল সহ অন্যান্য জন প্রতিনিধিরা ২৫ জন যক্ষ্মা রোগীকে দত্তক নেন। তাঁদের পুষ্টিকর খাবার ও পথ্য প্রদান করা হবে বলে জানিয়েছেন সাংসদ।