‘বাংলাদেশে গুন্ডা আমদানি করতে গেছে’, মোদীর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মমতা
সম্প্রতি নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi) বাংলাদেশ ওড়াকান্দি সফর ঘিরে সরব হয় তৃণমূল কংগ্রেস। তাদের অভিযোগ ছিল, ভোটের রাজনীতি করতে নমোর এই বিদেশ-সফর।
কুলপি: দুই মেদিনীপুরে ভোট প্রচারে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ তুলেছিলেন, ঝাড়খন্ড-বিহার থেকে গুন্ডা এনে ভোট করাতে চাইছে বিজেপি। বিজেপির হাত ধরে ভোটের বাংলায় বহিরাগতের ভিড়, এ অভিযোগ একাধিকবার শোনা গিয়েছে তৃণমূল সুপ্রিমোর গলায়। কিন্তু এবার সরাসরি তাঁর নিশানায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। নাম না করে শনিবার কুলপির জনসভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তোপ, সীমান্ত এলাকায় গ্রামে গ্রামে ভয় দেখাচ্ছে সিআরপিএফ জওয়ানরা। সে প্রসঙ্গেই মুখ্যমন্ত্রীর সংযোজন, “উনি বাংলাদেশ ঘুরে এসেছেন। ওখান থেকেও মনে হয় কিছু আমদানি করছেন।”
এদিন কুলপির সভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেন, বিজেপি বারবার ভোটারদের ভয় দেখানোর চেষ্টা করছে। এ ক্ষেত্রে পুলিশ, সিআরপিএফকেও কাজে লাগানো হচ্ছে। তাঁর কথায়, “বুথের ভিতরে পুলিশের লোক থাকলে, সিআরপিএফ থাকলে বলবেন বাইরে গিয়ে দাঁড়ান। গ্রামে গ্রামে গিয়ে ভয় দেখাবে। বর্ডার এরিয়ায় দেখাচ্ছে। যার জন্য উনি বাংলাদেশ ঘুরে এসেছেন। ওখান থেকেও মনে হয় কিছু আমদানি করছেন। করতেই পারেন। কারণ, অন্য সময় বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনুপ্রবেশকারী নিয়ে আসছেন। আর ভোটের সময় ভোট চাইতে গেছেন। আসলে গুন্ডা আমদানি করতে গেছেন। বাংলাদেশে গিয়ে বাংলার ভোট করতে গেছে। আমরা বলি হবে না। বাংলাদেশের যত ভোটার এখানে আছে, যত উদ্বাস্তু কলোনি আছে, আমি সবাইকে আইনত স্বীকৃতি করে দিয়েছি। চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত হয়ে গিয়েছে।”
আরও পড়ুন: দেবশ্রীকে নিয়ে ক্ষোভ ছিল, তাই ওকে প্রার্থী করিনি: মমতা
সম্প্রতি নরেন্দ্র মোদীর বাংলাদেশ ওড়াকান্দি সফর ঘিরে সরব হয় তৃণমূল কংগ্রেস। তাদের অভিযোগ ছিল, ভোটের রাজনীতি করতে নমোর এই বিদেশ-সফর। প্রতিবাদ জানিয়ে নির্বাচন কমিশনে চিঠিও দেয় তৃণমূল। মোদীর এই সফরের মাধ্যমে নির্বাচনী বিধি ভেঙেছেন বলেই দাবি করে শাসকদল। বনগাঁর সাংসদ শান্তনু ঠাকুরকে সেখানে নিয়ে যাওয়ার পিছনে প্রচ্ছন্নভাবে বাংলার নির্বাচনকে প্রভাবিত করার উদ্দেশ্য রয়েছ বলেও দাবি করে ঘাসফুল শিবির।
এদিন কুলপির সভায় মমতা অভিযোগ করেন, বহিরাগতরা নন্দীগ্রামের ভোটেও দাপাদাপি করেছে। বাড়ির মেয়েকে তুলে নিয়ে যাওয়ার হুমকি পর্যন্ত দিয়েছে। আর সবটাই হয়েছে বিজেপির মদতে, দাবি তৃণমূল সুপ্রিমোর।