Bhangar: ভাঙড়ে তৃণমূলের প্রতিবাদ সভায় অনুমতি দিল না কলকাতা পুলিশ
Bhangar: বুধবার পাকাপোল থেকে হাতিশালা পর্যন্ত প্রতিবাদ মিছিল ও সভা করার কথা ছিল। তৃণমূলের দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর ও তৃণমূল কর্মীদের মারধরের প্রতিবাদে এই মিছিল ও সভা হওয়ার কথা ছিল।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা: ভাঙড়ের (Bhangar) হাতিশালায় তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিবাদ সভার অনুমতি দিল না কলকাতা পুলিশ। ২৬ তারিখ পর্যন্ত হাতিশালা এলাকায় কোনও রকমের জমায়েত করতে পারবে না রাজনৈতিক দলগুলি। তৃণমূল (TMC) কংগ্রেসের ২৫ তারিখ অর্থাৎ বুধবার পাকাপোল থেকে হাতিশালা পর্যন্ত প্রতিবাদ মিছিল ও সভা করার কথা ছিল। তৃণমূলের দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর ও তৃণমূল কর্মীদের মারধরের প্রতিবাদে এই মিছিল ও সভা হওয়ার কথা ছিল। আবারও বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় আশঙ্কায় সেই সভা করার অনুমতি দেয়নি কলকাতা পুলিশ (Kolkata Police)।গত কয়েকদিন ধরে তৃণমূল (TMC)-আইএসএফ (ISF) সংঘর্ষ-টানাপোড়েনের জেরে তপ্ত ভাঙড়ের মাটি। ২২ জানুয়ারি উত্তেজনার পর থেকে এলাকায় টহলদারি চালাচ্ছেন ভাঙড়, কাশীপুর এবং কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স থানার পুলিশকর্মীরা। এলাকায় বিভিন্ন জায়গায় বসানো হয়েছে পুলিশ পিকেট। জারি রয়েছে ধরপাকড়ও।
শনিবার হাতিশালায় আইএসএফ ও তৃণমূলের মধ্যে যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে, তারপর থেকে বহু আইএসএফ (ISF) কর্মী ও সমর্থক এখনও ঘরছাড়া। সোমবার সকালেও কাশীপুর থানার পুলিশ বেশ কয়েকজন আইএসএফ কর্মীকে আটক করেছে। হাতিশালা ভাঙচুরের ঘটনার সিসিটিভির ছবি দেখে চিহ্নিত করা হয়েছে ফিরোজ নামে এক আইএসএফ নেতাকে। সোমবার বিকালে তাঁকে আটক করেছে পুলিশ।
লকাতায় রানি রাসমণি রোডের ঘটনায় ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকিকে (ISF MLA Naushad Siddiqui) গ্রেফতারের প্রতিবাদে বুধবার পথে নামছে আইএসএফ। দলীয় পতাকা ছাড়াই মিছিল করবেন তাঁরা। সেক্ষেত্রে নতুন করে যাতে কোনও অশান্তি না হয়, তার ওপরও নজর রাখছে পুলিশ। আবার বুধবার পাকাপোল থেকে হাতিশালা পর্যন্ত প্রতিবাদ মিছিল ও সভা করার কথা ছিল তৃণমূলের। সেই প্রতিবাদ সভা করার অনুমতি দিল না কলকাতা পুলিশ।