Bhangar: শাটার নামিয়ে কেন CCTV ফুটেজ চেক? প্রত্যক্ষদর্শীর সঙ্গে কথা বলতেই বা কেন আড়াল? ভাঙড়ের গণপিটুনিতে মৃত্যু-তদন্তে পুলিশের ভূমিকায় প্রশ্ন

Bhangar: সূত্রের খবর, সেই সিসিটিভি ফুটেজই খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারী।  কিন্তু দোকানের ঝাঁপ ফেলে ভিতরে ফুটেজ দেখছেন তদন্তকারী। প্রশ্ন হচ্ছে, দোকানদারের সঙ্গে কথা বলার জন্য কেন দোকানের ঝাঁপ বন্ধ করতে হচ্ছে পুলিশকে? সিসিটিভি ফুটেজই এই ঘটনার জীবন্ত প্রমাণ। কিন্তু সে প্রমাণ দেখতে দেন দোকানের ঝাঁপ ফেলতে হচ্ছে পুলিশকে? প্রশ্ন তুলছেন বিরোধীরাও। 

Bhangar: শাটার নামিয়ে কেন CCTV ফুটেজ চেক? প্রত্যক্ষদর্শীর সঙ্গে কথা বলতেই বা কেন আড়াল? ভাঙড়ের গণপিটুনিতে মৃত্যু-তদন্তে পুলিশের ভূমিকায় প্রশ্ন
ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ দেখছিলেন আইসিImage Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 07, 2024 | 1:40 PM

ভাঙড়: ভাঙড়ের মাটি আজও তপ্ত। কোনও রাজনৈতিক সংঘর্ষে নয়। সংক্রমণের মতো যে ব্যধি ছড়িয়ে পড়ছে গোটা বাংলায়, তার আঁচ পড়েছে ভাঙড়েও। ‘গণপিটুনি’তে মৃত্যু হল এক যুবকের। তাও আবার ভাঙড় থানার অদূরে। গণপিটুনিতে মৃত্যুর অভিযোগ ঘিরে ভাঙড়ের মাটি তপ্ত। থানার অদূরেই এমন ঘটনা ঘটে গিয়েছে, কিন্তু পুলিশ কিছুই জানতে পারল না? এমনকি মৃত্যুর পরও ঘটনাস্থলে দীর্ঘক্ষণ দেখা যায়নি পুলিশকে। অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দারেই একাংশ। ঘণ্টা চারেক পর ঘটনাস্থলে পৌঁছন ভাঙড় থানার আইসি। কীভাবে কোন প্রেক্ষিতে ঘটনা, তা জানতে স্থানীয় এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা বলছেন পুলিশ কর্তা। ওই দোকানেই সিসি ক্যামেরা রয়েছে।  সূত্রের খবর, সেই সিসিটিভি ফুটেজই খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারী।  কিন্তু দোকানের ঝাঁপ ফেলে ভিতরে ফুটেজ দেখছেন তদন্তকারী। প্রশ্ন হচ্ছে, দোকানদারের সঙ্গে কথা বলার জন্য কেন দোকানের ঝাঁপ বন্ধ করতে হচ্ছে পুলিশকে? সিসিটিভি ফুটেজই এই ঘটনার জীবন্ত প্রমাণ। কিন্তু সে প্রমাণ দেখতে দেন দোকানের ঝাঁপ ফেলতে হচ্ছে পুলিশকে? প্রশ্ন তুলছেন বিরোধীরাও। তবে পুলিশ সূত্রে খবর, সিসিটিভি ফুটেজে মারধরের স্পষ্ট প্রমাণ মিলেছে।

বিজেপি নেতা সজল ঘোষ বলেন, “থানার এখন আর কোনও ভূমিকা নেই। থানাই এখন অপরাধী। লোকেরা ছিচকে চোরদের ওপর এত আক্রোশ, কিন্তু বাংলার সবচেয়ে বড় চোরেদের কিচ্ছু হচ্ছে না।” অন্যদিকে, সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, “গণপিটুনিতে রোজ লোকে মারা যাচ্ছে। পুলিশ কী করছে, পুলিশমন্ত্রীকে বলতে হবে। তিনি পুলিশকে কী নিদান দিয়েছেন?”

প্রসঙ্গত, রবিবারের সকাল। ভাঙড়ের ভরা বাজার। চোর সন্দেহে এক ব্যক্তিকে গণপিটুনির অভিযোগ ওঠে। ভাঙড়র থানার অদূরেই ওই ব্যক্তিকে বাঁশ, লাঠি, লোহার রড দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। কিন্তু পুলিশের কাছে খবরই পৌঁছয়নি। জানা যায়, ওই ব্যক্তির নাম আজগর মোল্লা। বাড়ি ফুলবাড়ি এলাকায়। তাঁকে শনাক্তও করা হয়। কিন্তু এসবের পরও দীর্ঘক্ষণ দেহ পড়ে থাকে এলাকারই একটি দোকানের সামনে। ভাঙড় ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি সাবিরুল ইসলাম বলেন, “আমরা বাজারের নাইট গার্ডদের জিজ্ঞাসা করেছিলাম, তাঁরা বলছেন, তাঁরা কোনও বডি দেখতে পাননি। সকালে আমি শুনেছি, বডি পড়ে ছিল। যাঁর দেহ, তাঁর পরিবারের লোকজনই নাকি নিয়ে চলে গিয়েছে। ”

গণপিটুনিতে মৃত্যু রাজ্যের এখন উদ্বেগের বিষয়। পুলিশ প্রশাসনের তরফ থেকে সতর্ক করা হচ্ছে। কিন্তু এসবের পরও ভাঙড়ের ক্ষেত্রে তো পুলিশের ভূমিকা নিয়েই প্রশ্ন উঠছে।