Abhishek Banerjee: ধর্মের নামে ভোট নয়, কর্মের নামে হবে ভোট: অভিষেক

Abhishek Banerjee: অভিষেক বলেন, নবজোয়ার যাত্রার সময় বাংলার বিভিন্ন গ্রামবাংলার মহিলাদের অনুরোধ ছিল, সরকার যদি লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা কিছুটা বাড়িয়ে দেয়। অভিষেকের কথায়, "মানুষ বলেছিল দ্রব্যমূল্য বাড়ছে। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্য আকাশ ছোঁয়া। দিদিকে একটু বলুন না আমাদের লক্ষ্মীর ভাণ্ডারটা বাড়িয়ে দিতে।"

Abhishek Banerjee: ধর্মের নামে ভোট নয়, কর্মের নামে হবে ভোট: অভিষেক
ডায়মন্ড হারবারে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।Image Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 25, 2024 | 5:18 PM

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: বকেয়া নিয়ে ফের কেন্দ্রকে নিশানা ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। রবিবার নিজের সংসদীয় এলাকায় একাধিক প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গিয়ে তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড বলেন, “যতদিন আমাদের সরকার থাকবে বাংলার কোনও মানুষকে দিল্লির সরকার ভাতে মারতে পারবে না।”

এদিন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, কেন্দ্র সরকার বাংলার বকেয়া জোর জবরদস্তি করে আটকে রেখে দিয়েছে। সাংসদের কথায়, ভোটে হারার কারণেই এইভাবে বাংলাকে বঞ্চনা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, “২ বছর ধরে ১০০ দিনের টাকা আটকে রেখে দিয়েছে কেন্দ্র। তবে আমরাও দিল্লির দয়া দাক্ষিণ্যে বেঁচে নেই। ফেব্রুয়ারির ৩ তারিখ কলকাতার রাজপথে দাঁড়িয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছেন, দিল্লির দয়ায় নয়, আমার সরকারই সেই টাকা পৌঁছে দেবে।” যা আগামিকাল অর্থাৎ ২৬ ফেব্রুয়ারি থেকেই দেওয়া শুরু হবে।

প্রথমে ঘোষণা করা হয়েছিল, ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে সেই টাকা দেওয়া শুরু হবে। কিন্তু পরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই জানিয়ে দেন, বদল হয়েছে সেই দিন। কেন এই বদল? এদিন তা খোলসা করেন অভিষেক। ডায়মন্ড হারবারের সাংসদের কথায়, “প্রথমে ২১ ফেব্রুয়ারি টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছিল। কিন্তু তথ্য সংগ্রহ শুরু হতেই দেখা গেল সংখ্যাটা ২১ লক্ষ ৭৫ হাজার নয়। আরও অনেক। সংখ্যাটা প্রায় ৫৯ লক্ষ। আমাদের শিবির হয়েছে। যাঁরা কাজ করে টাকা পাননি, ২৬ ফেব্রুয়ারি থেকে ১ মার্চের মধ্যে যাদের বকেয়া পাওনা অ্যাকাউন্টে সরাসরি ঢুকে যাবে। কেন্দ্রের থেকে ১০ পয়সা সাহায্য ছাড়া সে টাকা দেবে আমাদের সরকার।”

একইসঙ্গে অভিষেক বলেন, নবজোয়ার যাত্রার সময় বাংলার বিভিন্ন গ্রামবাংলার মহিলাদের অনুরোধ ছিল, সরকার যদি লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা কিছুটা বাড়িয়ে দেয়। অভিষেকের কথায়, “মানুষ বলেছিল দ্রব্যমূল্য বাড়ছে। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্য আকাশ ছোঁয়া। দিদিকে একটু বলুন না আমাদের লক্ষ্মীর ভাণ্ডারটা বাড়িয়ে দিতে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২ কোটি ১২ লক্ষ মহিলাকে সরাসরি লক্ষ্মীর ভাণ্ডার দিয়ে ২৫ হাজার কোটি টাকা রাজ্যের কোষাগার থেকে খরচ করছেন। যাঁরা এতদিন মাসে ৫০০ টাকা পেতেন, বছরে ৬ হাজার টাকা পেতেন ১ এপ্রিল থেকে তাঁরা মাসে ১ হাজার, বছরে ১২ হাজার পাবেন। এতেও ১০ পয়সাও কেন্দ্রের নয়।”

নিজের সংসদীয় এলাকায় দাঁড়িয়ে এদিন অভিষেক বলেন, ডায়মন্ড হারবারে ধর্মের ভিত্তিতে ভোট হয় না, কর্মের ভিত্তিতে হয়। তাই ডায়মন্ড হারবার আজ মডেল। মানুষের চাহিদাই এখানে সবার আগে। সাংসদের কথায়, আগামীতেও ভোট হবে কর্মের ভিত্তিতেই।