Abhishek Banerjee: ‘দেখুন কী অবস্থা…’, হাত দেখিয়ে থামালেন কনভয়, গাড়ি থেকে নেমে শিক্ষিকার অভিযোগ শুনলেন অভিষেক
Abhishek Banerjee: গতকাল বজ বজ ট্রাঙ্ক রোড এবং মহেশতলা ৪০ মিলিয়ন গ্যালন পানীয় জল সরবরাহ প্রকল্পের উদ্বোধন করেন সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর সম্প্রীতি উড়ালপুলের নিচ থেকে তিনি বজ বজ ট্রাঙ্ক রোড দিয়ে ফিরছিলেন।
মহেশতলা: গরম হোক বা শীত সারা বছর বাড়ির সামনে জমে থাকে জল। আর বর্ষাকাল হলে তো বলার অপেক্ষা রাখে না। এমনিই জল জমে, তারপর আবার বৃষ্টি। কার্যত হাঁটা চলা দুর্বিষহ হয়ে ওঠে। দীর্ঘদিন সেই কথা জানিয়েও লাভ হয়নি বলে দাবি বাড়ির মালিকদের। শেষমেশ রবিবারের ‘সুবর্ণ সুযোগ’ হাতছাড়া করেননি তাঁরা। তৃণমূল সাংসদ তথা তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ডেকে দেখালেন। গাড়ি থেকে অভিষেকও দেখলেন সবটা। আশ্বাস দিলেন দ্রুত সুরাহা হবে সমস্যার।
গতকাল বজ বজ ট্রাঙ্ক রোড এবং মহেশতলা ৪০ মিলিয়ন গ্যালন পানীয় জল সরবরাহ প্রকল্পের উদ্বোধন করেন সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর সম্প্রীতি উড়ালপুলের নিচ থেকে তিনি বজ বজ ট্রাঙ্ক রোড দিয়ে ফিরছিলেন। সন্ধ্যে প্রায় সাড়ে ছ’টা নাগাদ ডাকঘরের কাছে একটি বাড়ির সদস্যরা হাত দেখিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে একটি বার নামার জন্য অনুরোধ করেন। অভিষেকও বিষয়টি লক্ষ্য করেন। প্রথমে গাড়ি থেকেই জিজ্ঞাসা করেন ঠিক কী হয়েছে।
এরপরই ওই বাড়ির সদস্যরা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে অভিযোগ জানান, জল জমার দীর্ঘ বছরের সমস্যার কথা। অভিযোগ শোনার পরেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় গাড়ি থেকে নেমে আসেন তৃণমূল সাংসদ। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে বাড়িতে ঢোকেন। কথা বলেন তাঁদের সঙ্গে। নিজেও দেখেন জল জমে রয়েছে। এরপর বাড়ির সদস্যের ফোন নম্বর ও নাম জানতে চান তিনি।
পেশায় স্কুল শিক্ষিকা ইন্দ্রানী মণ্ডল বলেন, “প্রায় ১৫-২০ বছরের সমস্যা। পাশের যে ট্যাঙ্ক আছে তা উপচে গিয়ে এই জল জমে যায়। সেখান থেকে ডেঙ্গি-ম্যালেরিয়ার প্রকোপ বাড়ে। বর্ষাকালে ঘর ভাসিয়ে দেয়। কাউন্সিলরকেও জানিয়েছি। এমনকী ভোটের সময় দেখে গেছেন তাও সুরাহা হয়নি। এরপর যখন জানলাম অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যাচ্ছেন এখান থেকে তখন ভেবেই রেখেছিলাম বিষয়টি জানাব। এরপর অভিষেকের গাড়ি যেতেই সঙ্গে সঙ্গে ওনাকে অনুরোধ করি একবার এসে দেখতে। অভিষেক জিজ্ঞাসা করেন, আমি কী নামব? সঙ্গে সঙ্গে নেমেও এলেন। আমাদের কথা শুনলেন। আমরা দেখালাম কী অবস্থা এখানকার। আশ্বাস দিলেন সবটা সমাধান হবে।” ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর গোপাল সাহা বলেন, “আমাদের বলেছেন দ্রুত এই সমস্যার সমাধান করতে হবে। আর আমাদের সাংসদ কথা দিলে কথা রাখেন।”
তারপর মহেশতলা স্থানীয় ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর গোপাল সাহাকে ওই বাড়িতে যাওয়ার নির্দেশ দেন। তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ডের নির্দেশ পেতেই গোপালবাবু বাড়িতে গিয়ে কথা বলেন পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে। তাঁদের আশ্বাস দেন জল জমার সমস্যা থেকে শীঘ্রই সুরাহা পাবেন তাঁরা।