Tiger Attcak: ‘নৌকায় ঝাঁপ দিয়েই সোজা টেনে নিল জঙ্গলে তারপর…’
Sundarban Tiger attack: পরে সেই ঘটনাটি জানালে গ্রাম থেকে আরও লোকজন ও সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের বনকর্মীরা নদী পথে রওনা দেয় মৎস্যজীবীর খোঁজে ।
সুন্দরবন: কয়েকদিন আগেই বাঘের আনাগোনায় কুলতলির জঙ্গল একেবারে অতিষ্ঠ হয়েছিল সুন্দরবনের মানুষজন। অনেক ঝক্কি পেরিয়ে খাঁচাবন্দী করা গিয়েছিল দক্ষিণরায়কে। এরপর আবার ফের, সুন্দরবনে কাঁকড়া ধরতে গিয়ে নৌকা থেকেই মৎস্যজীবীকে জঙ্গলে তুলে নিয়ে গেল বাঘ।
রবিবার সকালে এমনই ঘটনাটি ঘটেছে সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের অন্তর্গত ঝিলা জঙ্গলে। ওই মৎস্যজীবীর নাম অরবিন্দু বিশ্বাস(৪০)। জানা গিয়েছে, দুই সঙ্গীর সঙ্গেই তিনি বেরিয়েছিলেন কাঁকড়া ধরতে। অন্যান্য দিনের মতন এদিন গোসাবা ব্লকের কুমিরমারি গ্রাম পঞ্চায়েতের ভুরুলিয়া গ্রাম থেকে বেরিয়েছিলেন। এরপরই ঘটে অঘটন।
দু’জন মোট তিনজন মৎস্যজীবী নৌকা নিয়ে গ্রাম থেকে গিয়েছিলেন সুন্দরবনের নদী খাড়িতে কাঁকড়া ধরতে। তখনই হঠাৎ আক্রমণ করে দক্ষিণরায়। কার্যত দুই সঙ্গীর সামনে থেকেই ওই মৎস্যজীবীকে ধরে জঙ্গলের মধ্যে চলে যায় বাঘটি। এরপর ওই দুই সঙ্গী তারা এদিক-ওদিক খোঁজাখুঁজি করেও না পেয়ে গ্রামে চলে আসেন। পরে সেই ঘটনাটি জানালে গ্রাম থেকে আরও লোকজন ও সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের বনকর্মীরা নদী পথে রওনা দেয় মৎস্যজীবীর খোঁজে । তাঁদের সঙ্গে যান স্থানীয় কুমিরমারি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান দেবাশিস মণ্ডল।
দেবাশিস বাবু বলেন, “আজ কুমিরমারির এক ব্যক্তি অরবিন্দ বিশ্বাস সকালে ভোর পাঁচটা নাগাদ বিনা পাসেই জঙ্গলে বেরিয়েছিলেন। এরপর জঙ্গলথেকে একটু দূরেই অর্থাৎ যেই জায়গাটির নাম মুড়োগাছা জঙ্গল সেইখানেই হঠাৎ তিনজন নৌকাতে বসেছিলেন। সেই সময় হঠাৎ বাঘ লাফিয়ে পড়ে নৌকাতে। তারপর টানতে-টানতে বাঘ জঙ্গলে টেনে নিয়ে চলে যায়। এরপর গ্রামের মানুষের সহযোগীতা নিয়ে ও পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে আমরা যাচ্ছি সেখানে যদি প্রকৃত মৃতদেহকে আমরা উদ্ধার করতে পারি সেখানে।”
প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই শুরু হয় সুন্দরবনে বাঘ গণনার কাজ। দেরিতে হলেও শুরু হলেও বাঘ সুমারির জন্য দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলায় বন বিভাগের জঙ্গলে ক্যামেরা বসানো হয়। বাঘ গণনার জন্য নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সুন্দরবনের জঙ্গলে ক্যামেরা বসানোর কথা থাকলেও, সেই কাজ বাধা পেয়েছে বেশ কয়েক মাস ধরে। ঘন ঘন লোকালয়ে ঢুকেছে বাঘ। আর সেই বাঘ বন্দি করতে রীতিমতো নাকাল হতে হয়েছে বন কর্মীদের। যে কারণে ঘুম ছুটেছে বন কর্তাদেরও।
এর প্রায় ৩৫ দিন পর সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্প এলাকায় লাগানো ক্যামেরাগুলো সময় মতো খোলা যায়নি। সেই ক্যামেরা পেতে দেরি হয় দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা বন বিভাগের। তাই ৮ তারিখের বদলে ১৩ জানুয়ারি ওই এলাকায় ক্যামেরা বসানোর পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। কিন্তু ভেস্তে যায় সেটিও। শেষেমেশ ১৫ তারিখ রাতে ক্যামেরা পেতেই ১৮ তারিখ ক্যামেরা বসানোর ব্যবস্থা করা হয়। সেই মোতাবেক মঙ্গলবার সুন্দরবনে ১৬৮০ বর্গ কিলোমিটার জুড়ে শুরু হয় ক্যামেরা বসানো কাজ।
আরও পড়ুন: Naxal Killed: সুকমায় নিরাপত্তা বাহিনীর সাফল্য, এনকাউন্টারে খতম মাওবাদী সদস্য