কন্যাশ্রীর লক্ষাধিক টাকা আত্মীয়দের অ্যাকাউন্টে চালান, গ্রেফতার স্কুল কর্মী! পুলিশের জালে বাবাও

Kanyasree: প্রধান শিক্ষিকার কথায়, অভিযুক্ত সন্দীপ রায়কে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি কৃতকর্মের কথা স্বীকারও করেন।

কন্যাশ্রীর লক্ষাধিক টাকা আত্মীয়দের অ্যাকাউন্টে চালান, গ্রেফতার স্কুল কর্মী! পুলিশের জালে বাবাও
নিজস্ব চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 24, 2021 | 9:24 AM

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: ছাত্রীদের কন্যাশ্রী প্রকল্পের টাকা নিজের ও আত্মীয়দের অ্যাকাউন্টে পাঠানোর অভিযোগ উঠল স্কুলের এক অস্থায়ী কর্মীর বিরুদ্ধে। এ ভাবে প্রায় ৮ লক্ষ টাকা তছরূপ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। জয়নগরের শ্যামসুন্দর বালিকা বিদ্যালয়ের এই ঘটনায় রীতিমতো শোরগোল এলাকায়। অভিযুক্ত স্কুলকর্মী ও তাঁর বাবাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্পে এবার জালিয়াতির অভিযোগ। সেই অভিযোগে নাম জড়াল স্কুলেরই এক অস্থায়ী কর্মীর। নাম সন্দীপ রায়। জয়নগরের শ্যামসুন্দর বালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের কন্যাশ্রীর টাকা হাতানো হয় বলে অভিযোগ। অভিযোগ, ওই কর্মী নিজের ও পরিচিতদের অ্যাকাউন্টে সেই টাকা ঢুকিয়ে প্রায় ৮ লক্ষ টাকার আর্থিক জালিয়াতি করেছেন।

জানা গিয়েছে, সন্দীপ ডাটা এন্ট্রির কাজ করতেন শ্যামসুন্দর বালিকা বিদ্যালয়ে। ফলে কোথায় কত কী লেনদেন হচ্ছে, কোন খাতে কত টাকা আসছে সবই তাঁর জানা ছিল। সেই সুযোগকেই তিনি কাজে লাগান বলে অভিযোগ। বাসনা লস্কর নামে এক ছাত্রীর কথায়, “স্কুলে গিয়ে জানতে পারলাম যে অ্যাকাউন্ট নম্বরটা দেওয়া রয়েছে সেটা আমার অ্যাকাউন্ট নম্বরই নয়। অন্য একটি মেয়ের। আমি বাবাকে জানাই। বাবা স্কুলে গিয়ে কথা বলে। এরপর শুনলাম অন্যের কাছে টাকা চলে গিয়েছে।”

এ প্রসঙ্গে স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা স্বাগতা মণ্ডল জানান, “সপ্তাহখানের ধরে বেশ কয়েকজন এসে অভিযোগ জানান, তাঁদের মেয়ে কন্যাশ্রীর টাকা পায়নি। এরপরই আমরা আমাদের পোর্টালে দেখি ২০২০ সালের যে কন্যাশ্রীর টাকা বরাদ্দ হয়েছে সেখানে এমন বহু ছাত্রী আছে যাদের নাম ঠিকানা ব্যবহার করা হয়েছে কিন্তু ব্যাঙ্ক ডিটেইলটা অন্য কারও। কিছু ক্ষেত্রে আবার দেখা গিয়েছে ডবল এন্ট্রি হয়েছে। অর্থাৎ মেয়েটির ব্যাঙ্ক ডিটেইল, অন্যটি অন্য কারও। এরপরই অভিযোগগুলি খতিয়ে দেখতে গিয়ে দেখা যায় ২০১৭ সাল থেকে ২০২০ সালের অক্টোবর পর্যন্ত আমাদের এ সমস্ত কাজ যিনি দেখতেন সন্দীপ রায় তাঁর হাতেই এ সমস্ত কাজ হয়েছে। অভিভাবকরাও জানিয়েছেন, সন্দীপের কাছেই সমস্ত বিস্তারিত তাঁরা দিয়েছিলেন।”

প্রধান শিক্ষিকার কথায়, অভিযুক্ত সন্দীপ রায়কে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি কৃতকর্মের কথা স্বীকারও করেন। তিনি ইচ্ছাকৃত ভাবেই সে কাজ করেছেন বলেও স্বীকার করেন। এরপরই সন্দীপের বিরুদ্ধে জয়নগর থানায় এফআইআর করে স্কুল কর্তৃপক্ষ। তারই ভিত্তিতে সন্দীপ রায় ও তাঁর বাবা অনুপ রায়কে গ্রেফতার করা হয়। শনিবার ধৃতদের বারুইপুর মহকুমা আদালতে তোলা হবে। আরও পড়ুন: রাতভর ‘নিখোঁজ’ বধূ! শ্বশুরবাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্কের ঢাকনা খুলতেই আঁতকে উঠল পরিবার