Madan Mitra: ‘এক মিনিটে ফাঁকা করে দেব, না-হলে তৃণমূলের ঝান্ডাই ধরব না’, মীনাক্ষীকে খোলা চ্যালেঞ্জ মদনের

Madan Mitra vs Minakshi Mukherjee: মদন বললেন, '১৩ কোটি মানুষের পশ্চিমবঙ্গে এখনও কিছু কিছু জায়গায় কয়েকটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা বিজেপি, সিপিএম, কংগ্রেস মিলে করার চেষ্টা করছে। তবে নিশ্চয়ই থাকতে পারেন, ৯৮ শতাংশ জায়গায় তৃণমূলের নৌকা পঞ্চায়েতের ঘাট অতিক্রম করবে।'

Madan Mitra: 'এক মিনিটে ফাঁকা করে দেব, না-হলে তৃণমূলের ঝান্ডাই ধরব না', মীনাক্ষীকে খোলা চ্যালেঞ্জ মদনের
মদন মিত্র ও মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 07, 2023 | 6:13 PM

বারুইপুর: বাম যুব নেত্রী তথা ডিওয়াইএফআই রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়কে (Minakshi Mukherjee) খোলা চ্যালেঞ্জ কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্রের (Madan Mitra)। মীনাক্ষীর উদ্দেশে বললেন,  ‘বৃন্দা কারাতকে নিয়ে আসুন সভা করুন। একই দিনে একই সময় সভা করুক ফুলতলা ময়দানে। এক মিনিটে ফাঁকা করতে যদি না পারি তাহলে জীবনে তৃণমূলের ঝান্ডা ধরব না।’ পঞ্চায়েত ভোটের আগে বেশ আত্মবিশ্বাসী সুর মদন মিত্রর গলায়। বললেন, ‘১৩ কোটি মানুষের পশ্চিমবঙ্গে এখনও কিছু কিছু জায়গায় কয়েকটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা বিজেপি, সিপিএম, কংগ্রেস মিলে করার চেষ্টা করছে। তবে নিশ্চয়ই থাকতে পারেন, ৯৮ শতাংশ জায়গায় তৃণমূলের নৌকা পঞ্চায়েতের ঘাট অতিক্রম করবে।’

সামনেই রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayet Elections 2023)। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে, রাজ্যে শেষ বড় নির্বাচন বলতে এই পঞ্চায়েত ভোটই। অতীতে রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটে একাধিকবার সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলেছে বিরোধীরা। যদিও সম্প্রতি তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটে শান্তির বার্তা দিয়েছেন। কিন্তু তারপরও কখনও মাড়গ্রাম, কখনও বাসন্তীতে অশান্তির অভিযোগ উঠছে। কোথাও অভিযোগ উঠছে গোষ্ঠীকোন্দলের, কোথাও আবার বোমাবাজির। যদিও এসবের সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই বলেই মনে করছেন মদন মিত্র (Madan Mitra)।  বলেন, ‘আমাদের দলের লোকেদের নিশ্চয়ই আমরা মারছি না। এখনও বিজেপির কিছু লোক আছে যারা অশান্তি পাকাচ্ছে। কিছু কিছু জায়গায় অন্তর্ঘাত হচ্ছে। প্রশাসন কাজ করছে।’

রাজ্যের আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটে যে তৃণমূলের সহজ জয় হবে, সেই কথাও এদিন বুঝিয়ে দেন মদন মিত্র। বললেন, ‘ওরা (কেন্দ্র) যতই প্যারা মিলিটারি ফোর্স আনুক, এনআইএ নিয়ে আসুক। আমি তো বলেছি আমাদের সিটি অব জয় নাম বদল করে সিটি অব সিবিআই, সিটি অব ইডি করে দিক। তাতেও কিছু হবে না। ভোট বাক্স খুললে তৃণমূলকেই দেখা যাবে।’ মুখ খুললেন বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলালের তৃণমূলে আসা নিয়েও। বুঝিয়ে দিলেন, সুমন কাঞ্জিলাল তৃণমূলে আসা বা না আসায় কিছু যায় আসে না। সুমন কাঞ্জিলালের পর আরও কেউ দলে আসতে পারেন কি না, সেই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে মদন বললেন, ‘আমি যখন যুব সভাপতি ছিলাম, তখন কামতাপুরী লিবারেশন অর্গানাইজেশন বলে একটি দল ছিল। আমরা কথায় বলতাম KLO। বক্তৃতার সময় বলতাম, কে এল কে গেল আমাদের কিছু যায় আসে না।’