AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

পতঙ্গবাহিত রোগের সঙ্গে লড়াইয়ে এবার প্রশাসনের হাতিয়ার ‘প্রতিরোধ’

মোবাইলে প্রতিরোধ অ্যাপ (App)। বাড়ি বাড়ি চলছে তথ্য জোগাড়। প্রশাসনের উদ্যোগে খুশি এলাকার মানুষও।

পতঙ্গবাহিত রোগের সঙ্গে লড়াইয়ে এবার প্রশাসনের হাতিয়ার 'প্রতিরোধ'
১১ রাজ্যের ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্য মন্ত্রক
| Updated on: Jun 03, 2021 | 8:21 PM
Share

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: পতঙ্গবাহিত রোগ প্রতিরোধে এবার হাতিয়ার ‘প্রতিরোধ’। ভাঙড়ের বিডিওর উদ্যোগে তৈরি হল নতুন মোবাইল অ্যাপ। তাতেই আস্থা রেখে ম্যালেরিয়া-ডেঙ্গি ঠেকাতে নেমে পড়ল স্থানীয় প্রশাসন।

গত বছরই ভাঙড়ের বায়ুশহর, মরিচা, নলমুড়ি-সহ একাধিক এলাকায় ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হন প্রায় ৪০০ বাসিন্দা। মারাও যান অনেকে। অথচ ঠিকমত তথ্য হাতে থাকলে রোগ ঠেকানো সহজ বলেই বারবার বলেন চিকিৎসকরা। ঠিক সেই লক্ষ্যেই এবার তৈরি করা হল প্রতিরোধ অ্যাপ। ভাঙড়-১ ব্লকের বিডিও-র নয়া অস্ত্র।

প্রতিরোধ অ্যাপে এলাকার বাড়িতে বাড়িতে সংগৃহীত তথ্য মজুতের ব্যবস্থা রয়েছে। গৃহকর্তার নামে নির্দিষ্ট আইডি তৈরি করে পরিবারের সদস্য ও বাড়ির পরিস্থিতির তথ্য রাখা যাবে। ডেঙ্গি-ম্যালেরিয়া প্রতিরোধে যা প্রাথমিক ধাপ। ইতিমধ্যেই পারিবারিক তথ্য নথিভুক্ত করার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। ভাঙড়-১ ব্লকের ৯টি গ্রাম পঞ্চায়েতের ২০৩টি পোলিং স্টেশনের প্রায় ৬০ হাজার পরিবারের তথ্য সংগ্রহ করা হবে। ২৯৮ জন এই কাজ করবে।

আরও পড়ুন: ইয়াসে ক্ষতি হয়েছে বললেই ক্ষতিপূরণ নয়, ত্রিস্তরীয় পরীক্ষার পরই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা

মূলত বাড়ি বাড়ি গিয়ে পরিবারের সদস্য সংখ্যা, বাড়িতে নিজস্ব টিউবওয়েল আছে কি না, জমা জল আছে কি না, শরীরে কোনও সমস্যা আছে কি না সে সমস্ত নথি সংগ্রহ করবে। যা ‘প্রতিরোধ’-এ থাকবে। বিডিও দীপ্যমান মজুমদার জানান, “এলাকার তথ্যগুলি আমরা একসঙ্গে একটি ওয়েবসাইটের মধ্যে নথিভুক্ত রাখলে সহজেই বুঝতে পারব কোন এলাকায় কী কী সমস্যা আছে। সমস্যা বুঝে আমরা দ্রুত ব্যবস্থাও নিতে পারব। এর আগে বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে সার্ভের কাজ শুরু হলেও তা ছিল অফলাইনে। যার তথ্য সংরক্ষিত রাখা যথেষ্ট কষ্ট সাপেক্ষ ছিল। সে কারণেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এতে সাধারণ মানুষের পরিষেবা পেতে সুবিধা হবে।” মোবাইলে প্রতিরোধ অ্যাপ। বাড়ি বাড়ি চলছে তথ্য জোগাড়। প্রশাসনের উদ্যোগে খুশি এলাকার মানুষও।