Patharpratima: খুনের চেষ্টা-সহ ৭ টি ধারায় মামলা রুজু, ঢোলাহাট বিস্ফোরণে NIA তদন্তের দাবি
Patharpratima: ইতিমধ্যেই এই বিস্ফোরণ নিয়ে এনআইএ তদন্তের দাবি করেছে বিজেপি। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, "বারুদের স্তূপে রয়েছে বাংলা। কত বিস্ফোরক সেখানে ছিল, গোয়েন্দা বিভাগ জানতে পারল না? এর তদন্ত হওয়া উচিত। এনআইএ তদন্তের জন্য় আমি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি করব।"

পাথরপ্রতিমা: ঢোলাহাট বিস্ফোরণকাণ্ডে আটক বাজি কারখানার মালিক চন্দ্রকান্ত বণিক। আরেক ভাই তুষার বণিকের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। বিস্ফোরক পদার্থ নিয়ে অবহেলা-সহ মোট সাতটি ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। কারখানা বৈধ হলেও, তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন পদে পদে গাফিলতির ছবিটা স্পষ্ট। ইতিমধ্যেই এই বিস্ফোরণ নিয়ে এনআইএ তদন্তের দাবি করেছে বিজেপি। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “বারুদের স্তূপে রয়েছে বাংলা। কত বিস্ফোরক সেখানে ছিল, গোয়েন্দা বিভাগ জানতে পারল না? এর তদন্ত হওয়া উচিত। এনআইএ তদন্তের জন্য় আমি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি করব।”
মঙ্গলবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিম হাজরা। তিনি বলেন, “আমি এলাকায় এসে দেখলাম, একটা ভয়াবহ ঘটনা। বিস্ফোরণে গোটা এলাকাটাই বিধ্বস্ত হয়ে গিয়েছে। দুই ভাই ও তাঁদের মা বেঁচে রয়েছেন। অত্যন্ত দুর্ভাগ্য বাচ্চাগুলো মারা গিয়েছে। এখনও পর্যন্ত জানা গিয়েছে, মোট পরিবারের সংখ্যা ১১, মৃতের সংখ্যা ৮। ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা আসছেন। নিখুঁত রিপোর্ট দেবেন। আমিও শুনেছি, এখানে বোমা তৈরি হত। থানার আইসি এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত কিনা, সেটা তদন্ত করে দেখতে হবে।”
স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ এও অভিযোগ করছেন, দুই ভাই আগে বিজেপি ঘনিষ্ঠ ছিল। তখন বাজি তৈরি করতেন। সে সময়ে পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে। পরে সে ছাড়া পেয়ে যায়। তারপর অজ্ঞাত কারণে তিনি তৃণমূলে যোগ দেন। তারপর বাজি কারখানার লাইসেন্সও পেয়ে যান। এলাকার বিধায়ক ও ঢোলাহাট থানার পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলছেন স্থানীয় বাসিন্দাদেরই একাংশ।





