Sonarpur: অস্মিকার পর সোনারপুরের হৃদিকারও প্রয়োজন ১৬ কোটির ইঞ্জেকশন
Sonarpur: সোনারপুর রুপনগরের বাসিন্দা বাপন দাস ও হৈমন্তী দাসের একমাত্র মেয়ে হৃদিকা। ৯ মাস আগে যখন হৈমন্তীর কোল আলো করে হৃদিকা পৃথিবীর আলো দেখে তখন খুশির অন্ত ছিল না দাস পরিবারে। ছোট শিশু সন্তানকে নিয়ে খুশিতে ভরে উঠেছিলেন দাস দম্পতি।
সোনারপুর: রানাঘাটের অস্মিকার পর সোনারপুরের হৃদিকা। বিরল রোগে আকান্ত শিশুর ভ্যাকসিনের জন্য দরকার ১৬ কোটি টাকা। এই বয়সে আর পাঁচটা শিশু বিছানার ওপর গড়াগড়ি খায়, বিছানায় ওলটপালট খায়। কিন্তু সেসব কিছুই করতে পারে না সোনারপুরের হৃদিকা দাস। হৃদিকার বয়স ৯ মাস। দূরারোগ্য ব্যাধির জন্য আর পাঁচটা শিশুর থেকে সে আলাদা। বিছানাই তার একমাত্র সঙ্গী। এই ছোট্ট শিশুর চিকিৎসার জন্য দরকার কোটি কোটি টাকা। সেই টাকা কিভাবে জোগাড় হবে তা ভেবে কূল কিনারা পাচ্ছেন না হৃদিকার মা-বাবা। তাই সন্তানকে বাঁচাতে ‘ক্রাউড ফান্ডিং’ই ভরসা হৃদিকার বাবা-মায়ের। শুরু হয়েছে তহবিল সংগ্রহের কাজ। ১৬ কোটি টাকা মূল্যের একটি ভ্যাকসিন নতুন জীবন দিতে পারে হৃদিকাকে।
সোনারপুর রুপনগরের বাসিন্দা বাপন দাস ও হৈমন্তী দাসের একমাত্র মেয়ে হৃদিকা। ৯ মাস আগে যখন হৈমন্তীর কোল আলো করে হৃদিকা পৃথিবীর আলো দেখে তখন খুশির অন্ত ছিল না দাস পরিবারে। ছোট শিশু সন্তানকে নিয়ে খুশিতে ভরে উঠেছিলেন দাস দম্পতি। মাস চারেক পরে দেখা যায় হৃদিকার ঘাড় শক্ত হচ্ছে না। সে হামাগুড়ি দেওয়া শিখছে না। শুরু হয় বিভিন্ন রকম পরীক্ষা। একের পর এক হাসপাতাল, প্রাইভেট ডাক্তারের কাছে ছোটাছুটি করেন দম্পতি।
একাধিক পরীক্ষার পর মাস তিনেক আগে জানা যায় হৃদিকা দূরারোগ্য ‘স্পাইনাল মাসকুলার অ্যাট্রোফি, টাইপ-১ রোগে আক্রান্ত। এই রোগের ইঞ্জেকশনের দাম ১৬ কোটি টাকা। ছোট্ট শিশুটির মা একজন গৃহবধূ। আর বাবা নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন স্কুলের ভূগোলের শিক্ষক। বেসরকারি স্কুলের একজন শিক্ষকের পক্ষে এত টাকা জোগাড় করা খুব কঠিন ব্যাপার।
শিশুটির মা হৈমন্তী দাস বলেন, “যখন সাড়ে চার মাস বয়স তখন ঘাড় শক্ত হচ্ছিল না। তাই চিকিৎসক পি পি গিরির নির্দেশে পরীক্ষা করে জানতে পারি ও বিরল রোগে আক্রান্ত। এই রোগের ভ্যাকসিনের জন্য প্রচুর টাকা দরকার। আমরা ক্রাউড ফান্ডিং করছি গত তিন মাস ধরে। তাতে মাত্র ৫০ লক্ষ টাকা এসেছে। কিন্ত ওর ভ্যাকসিনের জন্য দরকার ১৬ কোটি টাকা। সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেবাশ্রয়েও আবেদন করেছি। জানি না কীভাবে এত টাকা জোগাড় হবে।”
শিশুর বাবা বাপন দাস বলেন, “বেঙ্গালুরু থেকে একটি পরীক্ষা করে জানা যায় ও বিরল থেকে বিরল রোগে আক্রান্ত। ওর দেড় থেকে দু’বছরের মধ্যে যদি ভ্যাকসিন দেওয়া যায় তাহলে ও সুস্থ- স্বাভাবিক জীবন ফিরে পাবে।” এই একই রোগে আক্রান্ত রানাঘাটের অস্মিকা দাস। তার জন্যও গোটা দেশ থেকে অর্থ সংগ্রহ করছেন অস্মিকার পরিবার, বাঙলার শিল্পীরা।