Bombing in Basanti: রাতভর বোমাবাজি বাসন্তীতে, তৃণমূল নেতার প্রশ্ন, ‘বোমা পড়ে থাকল, ফাটল না, তা কী করে হয়!’

Bombing in Basanti: রফিকুলের পরিবারের দাবি, পঞ্চায়েত নির্বাচনে মনোনয়ন জমা দিয়েও দলের নির্দেশে প্রার্থীর নাম প্রত্যাহার করেছিল যুব তৃণমূল।

Bombing in Basanti: রাতভর বোমাবাজি বাসন্তীতে, তৃণমূল নেতার প্রশ্ন, ‘বোমা পড়ে থাকল, ফাটল না, তা কী করে হয়!’
বাসন্তীতে বোমাবাজিImage Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 26, 2023 | 12:09 PM

বাসন্তী: পঞ্চায়েত ভোট পর্বের শুরু থেকেই শিরোনামে বাসন্তী। বোমাবাজি, রক্তপাতে উত্তপ্ত হয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার এই এলাকা। বিজয় উৎসবেও জারি অশান্তি। তৃণমূল কর্মীর বাড়ি লক্ষ্য করে পরপর বোমা ছোড়ার অভিযোগ উঠল মঙ্গলবার রাতে। যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁরা তৃণমূলেরই কর্মী। এই ঘটনায় ফের একবার প্রকাশ্যে এসেছে যুব ও মাদার তৃণমূলের দ্বন্দ্ব। যুব তৃণমূল কর্মীর রফিকুল ও সাদেক মোল্লার বাড়ি লক্ষ্য করে বোমা ছোড়া হয়েছে বলে অভিযোগ। ঘটনাস্থলে রয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী।

মঙ্গলবার গভীর রাতে বোমাবাজির ঘটনা ঘটেছে বাসন্তী থানার চুনাখালি গ্রাম পঞ্চায়েতের সচিয়াখালি গ্রামে। রফিকুল মোল্লার দাবি, পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফল ঘোষণার আগেই বাড়ি ছাড়া হতে হয়েছিল তাঁকে।

রফিকুলের পরিবারের দাবি, পঞ্চায়েত নির্বাচনে মনোনয়ন জমা দিয়েও দলের নির্দেশে প্রার্থীর নাম প্রত্যাহার করেছিল যুব তৃণমূল। টিকিট পেয়েছিলেন মাদার তৃণমূলের কর্মী। আর প্রার্থীপদ প্রত্যাহার করার পর থেকেই এলাকার যুব তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী সমর্থকদের ওপর বারবার আক্রমণ হচ্ছে বলে দাবি করেছেন তাঁরা। বর্তমানে রফিকুল বাড়িচে নেই। পরিবারের দাবি, সন্ত্রাসের জেরেই তাঁকে ঘরছাড়া হতে হয়েছে। বাড়িতে রয়েছেন তাঁর পরিজনেরা।

মঙ্গলবার চুনাখালি বাজার এলাকায় মাদার তৃণমূলের কর্মীরা বিজয় উৎসবের আয়োজন করেছিলেন। তারপর রাত ১টা নাগাদ আচমকাই রফিকুল ও তাঁর ভাই সাদেকের বাড়ি লক্ষ্য করে পরপর বোমা ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। সকালে দেখা যায়, তাজা বোমা পড়ে রয়েছে বাড়ির সামনে। আতঙ্কে মধ্যে রয়েছে গোটা পরিবার।

এদিকে, মাদার তৃণমূলের নেতা হিসেবে পরিচিত সাবির আলি সর্দারের দাবি, যাঁরা হামলা চালিয়েছেন, তাঁরা কেউ তৃণমূলের কর্মী নন। ঘটনা সাজিয়ে তৃণমূলের বদনাম করার চেষ্টা হচ্ছে বলে দাবি করেছেন তিনি। সাবির আলি সর্দার বলেন, ‘বোমা পড়ে থাকল, ফাটল না, তা কী করে হয়!’