TMC: ‘চলুন ওই দিকটা ঘুরে আসি…’, সানগ্লাস চোখে ‘তারকা’কে দেখেই নাছোড়বান্দা, মুখে ছোড়া হল ফুল, বেনজির ‘হেনস্থায়’ লজ্জায় জিভ কাটলেন মহিলা প্রার্থী

TMC: রবিবাসরীয় প্রচারে গিয়ে গ্রামবাসীদের ক্ষোভের মুখে  পড়েন প্রতিমা মন্ডল।  জয়নগর বিধানসভা এলাকার হরিনারায়ণপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকাতে গিয়েছিলেন নির্বাচনী প্রচারে। তাঁর সঙ্গে ছিলেন জয়নগরের বিধায়ক বিশ্বনাথ দাস।

TMC: 'চলুন ওই দিকটা ঘুরে আসি...', সানগ্লাস চোখে 'তারকা'কে দেখেই নাছোড়বান্দা, মুখে ছোড়া হল ফুল, বেনজির 'হেনস্থায়' লজ্জায় জিভ কাটলেন মহিলা প্রার্থী
রাতে মহিলা প্রার্থীর মুখে ছোড়া হল ফুল!Image Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 05, 2024 | 1:53 PM

জয়নগর: ছুটির সকাল। অনুগামীদের নিয়ে প্রচারে বেরিয়েছিলেন প্রার্থী। মাথায় ঘোমটা, চোখে সানগ্লাস! স্বমহিমায় হেঁটে চলছেন। হঠাৎ তাঁকে ঘিরে ধরেন গ্রামবাসীরা। কয়েক হাত দূর থেকে তখন ফুলের পাপড়ি উড়ে এসে পড়ছে। গ্রামাবাসীরা তাঁকে ঘিরে ধরে প্রশ্ন করতে থাকেন, ‘গ্রামে তো এত পানীয় জলের সমস্যা, আপনি যান একবার ওই দিকটা ঘুরে আসুন। এই দিকে ঘুরে কী লাভ!’ এসবের মধ্যে রীতিমতো প্রার্থীর মুখ লক্ষ্য করে ফুল ছুড়ে মারতে থাকেন গ্রামবাসীরা। সঙ্গে থাকা বিধায়ক উত্তপ্ত হয়ে ওঠেন। রীতিমতো গ্রামবাসীদের সঙ্গে হাতাহাতির পরিস্থিতি তৈরি হয়। লজ্জায় জিভ কাটলেন প্রার্থী। প্রচারে বেরিয়ে বেনজির অভিজ্ঞতার মুখে জয়নগরের তৃণমূল প্রার্থী তথা বিদায়ী সাংসদ প্রতিমা মণ্ডল।

রবিবাসরীয় প্রচারে গিয়ে গ্রামবাসীদের ক্ষোভের মুখে  পড়েন প্রতিমা মন্ডল।  জয়নগর বিধানসভা এলাকার হরিনারায়ণপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকাতে গিয়েছিলেন নির্বাচনী প্রচারে। তাঁর সঙ্গে ছিলেন জয়নগরের বিধায়ক বিশ্বনাথ দাস। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই গ্রামের বিস্তীর্ণ এলাকায় পানীয় জলের সমস্যা রয়েছে।  তীব্র দাবদহে সে সমস্যা আরও প্রকট হয়েছে।  প্রতিমা মণ্ডলকে সামনে পেয়েই গ্রামবাসীরা তাঁদের সমস্যার কথা জানাতে যান।

আর তখনই উত্তেজনার পরিস্থিতি তৈরি হয়। দেখা যায়, এক গ্রামবাসী প্রার্থীর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে কথা বলার চেষ্টা করছিলেন। তাঁকে বলছিলেন, “আপনি একবার ওই দিকটা চলুন, ওই এলাকায় দেখুন কী সমস্যা মানুষের।” যখন তিনি এসব কথা বলছিলেন, তখন দেখা যায় রীতিমতো তাক করে প্রার্থীর মুখেই ফুলের পাপড়ি ছুড়ে মারতে থাকেন অনেকে। সানগ্লাস খুলে চোখ মুছতেও দেখা যায় প্রার্থীকে।

এতেই ক্ষুব্ধ হন বিধায়ক বিশ্বনাথ দাস। তিনি গ্রামবাসীদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। বিধায়কের আচরণে ক্ষুব্ধ হন গ্রামবাসীরাও। এক প্রকার হাতাহাতির উপক্রম হতে দেখা যায়। যদিও সঙ্গে সঙ্গে বিধায়কের সঙ্গে থাকা পুলিশকর্মীরা উত্তেজিত গ্রামবাসীদেরকে শান্ত করেন।  ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীদের অভিযোগ, “সাংসদ দশ বছর এলাকায় কোন কাজ করেননি। ভোটের আগে এলাকায় এসেছেন বলেই সমস্যার কথা তুলে ধরেছিলেন।”  প্রতিমা মণ্ডল বলেন, “এটা অভিযোগ বলব না। এটা গ্লোবার ওয়ার্মিংয়ের ফলে হচ্ছে। আমরা জনপ্রতিনিধি বলে আমার কাছে জানাচ্ছেন। পানীয় জলকে অনেকে অনেক কাজে ব্যবহার করছেন, তাই ঘাটতি তৈরি হচ্ছেই।”