দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে ফেস্টুন-হোর্ডিং, সাতসকালে দৃশ্য দেখে কপালে হাত তৃণমূল কর্মীদের
অভিযোগের আঙুল বিজেপির (BJP) দিকে। তৃণমূলের দাবি, ভোটের মাটি নড়বড়ে বুঝে বিজেপি এসব করছে। যদিও বিজেপি এ নিয়ে কোনও কথা বলতে চায়নি।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা: ভোটের (West Bengal Assembly Election 2021) বাংলায় চড়ছে পারদ। জেলায় জেলায় রাজনৈতিক উত্তেজনা লেগেই রয়েছে। তৃণমূলের ফেস্টুন, হোর্ডিং, ব্যানার পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ ঘিরে সোমবার সকাল থেকে উত্তপ্ত মহেশতলা। প্রতিবাদে পথ অবরোধে নামেন তৃণমূল কর্মীরা। প্রায় ঘণ্টাখানেক এই অবরোধ চলে। পরে মহেশতলা থানার পুলিশ এসে বুঝিয়ে সুঝিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়।
মহেশতলা পুরসভার ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের হেতালখালি। এখানকার প্রার্থী দুলাল দাস কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ের শ্বশুর, রত্না চট্টোপাধ্যায়ের বাবা। তাঁরই সমর্থনে এলাকায় পোস্টার, ব্যানার লাগিয়েছিলেন দলীয় কর্মীরা। সকালবেলা তাঁরা দেখেন প্রায় ৬০-৭০টি পোস্টার, ব্যানার পুড়ে পড়ে রয়েছে।
স্থানীয় তৃণমূল কর্মী বাপি রায়ের অভিযোগ, “আমরা সন্ধ্যাভর দলের পতাকা, পোস্টার, ফেস্টুন লাগাই। ভোরের দিকে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এগুলি পুড়িয়ে ফেলে। বিজেপির স্থানীয় নেতৃত্বের মদতেই এসব হচ্ছে। ওদের তো লোক নেই। দু’জনকে এনে দেওয়াল লেখাচ্ছে। চারটে লোক এসে মিছিল করছে। ওরা আর কী করবে।”
আরও পড়ুন: ‘দলের কোনও কর্মসূচিতে নেই, অথচ প্রার্থী!’ হেস্টিংসে বিজেপি অফিসে বিক্ষোভ দলীয় কর্মীদের
তৃণমূলের অভিযোগ, মহেশতলায় দুলাল দাসকে হারানো কঠিন। প্রচুর ভোটে জিতবেন তিনি। অন্যদিকে বিজেপির যাঁকে প্রার্থী করেছে, তাঁকে কেউ চেনেনই না। সেই ভয় থেকেই বিজেপি এসব করছে। তাঁদের দাবি, এসব করে লাভ হবে না। যদিও এ নিয়ে বিজেপির কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি।