TMC Leader Murder: বাইক থেকে নেমেই পর পর গুলি, বিষ্ণুপুরে তৃণমূলের বুথ সভাপতি খুন
Bishnupur: স্থানীয় আন্ধারমানিক গ্রামপঞ্চায়েতের ২১৮ ও ২১৯ নম্বর বুথের সভাপতি সাধন মণ্ডল। বয়স ৩৪ বছরের কাছাকাছি।
কলকাতা: পঞ্চায়েত ভোটের আগে উত্তপ্ত দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুর (Bishnupur)। গুলি করে খুনের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বুথ সভাপতিকে। স্থানীয় দুর্গাবাটি বুথের সভাপতি সাধন মণ্ডলকে একেবারে সামনে থেকে গুলি করে খুন করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। এলাকার একটি চায়ের দোকানে বসেছিলেন সাধন। বাইকে চেপে ২-৩ জন আসেন। বাইক থেকে নেমে সাধনকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। ৬ থেকে ৮ রাউন্ড গুলি চালানো হয় বলে দাবি করেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। স্থানীয় আন্ধারমানিক গ্রামপঞ্চায়েতের ২১৮ ও ২১৯ নম্বর বুথের সভাপতি সাধন মণ্ডল। বয়স ৩৪ বছরের কাছাকাছি। অভিযোগ, এদিন সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা নাগাদ তিনি চায়ের দোকানে বসেছিলেন। একটি বাইকে তিনজন আসেন। সে সময় সাধন তাঁর এক ভাইপোর সঙ্গে বসে চায়ের দোকানে গল্প করছিলেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, চায়ের দোকান থেকে ২০ মিটার দূরে বাইকটি রেখে তিনজন নেমে আসেন। অভিযোগ, প্রথমে একজন চায়ের দোকানে ঢুকে বন্দুক বের করেন। তাতেই সেখানে থাকা সকলে এদিক ওদিক চলে যান। এরপরই চলে গুলি।
এলাকাবাসীর কথায়, সামনে পঞ্চায়েত ভোট। তার আগে এমন নৃশংস ঘটনার পিছনে রাজনৈতিক কারণ আছে বলেই মনে করছেন এলাকার লোকজন। এলাকায় সাধনের যথেষ্ট নাম ছিল বলেই জানান তাঁরা। সংগঠনকে শক্ত করতে সাধনের ভূমিকা বেশ গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
পিন্টু সর্দার বলেন, “ও চায়ের দোকানে বসেছিল। পাশে আরও দু’জন বসেছিল। হঠাৎ দু’ তিনজন বাইক নিয়ে এল। ওর থেকে সামান্য দূরে বাইকটা রেখে ওর সামনে দাঁড়াল। কোনও কথা না বলে একজন দোকানের ভিতর ঢুকে যায়। মেশিন দেখিয়ে বাকিদের ওখান থেকে সরিয়ে পর পর গুলি করে। মরেনি বলে আবার গুলি করে। মুখ থেকে গুলি করা শুরু করে। এরপর বুকে গুলি করে। ও তৃণমূলের বুথ সভাপতি ছিল। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিষ্ণুপুর থানার পুলিশ। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।