Sundarban: উন্মুক্ত পা, এক পাটি জুতো নেই, উপুড় হয়ে শুয়ে মহিলা… নদীঘাটে হইচই কাণ্ড
South 24 Parganas: শুক্রবার সকালে সাগরের কচুবেড়িয়া জেটিঘাটের কাছে মুড়িগঙ্গা থেকে এক মহিলার দেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা: ভেসেল ভাসছিল। হঠাৎই কী যেন ভেসেলের সামনে এসে ঠেকল। মনে হল বড় কিছুই। এরপর উঁকি মারতেই দেখা যায় এক মহিলা। শুক্রবার নদী থেকে অজ্ঞাত পরিচয় দেহটি উদ্ধার করে সুন্দরবনের (Sundarban) পুলিশ। কোনওভাবে তিনি নদীতে নেমে তলিয়ে যান বলে মনে করছেন এলাকার বাসিন্দারা। এর আগে বৃহস্পতিবার বিকেলে ফ্রেজারগঞ্জের কাছে এডওয়ার্ড ক্রিক (খাঁড়ি) থেকে ৬০ বছর বয়সী এক ব্যক্তির দেহ উদ্ধার হয়। এরপর শুক্রবার সকালে সাগরের কচুবেড়িয়া জেটিঘাটের কাছে মুড়িগঙ্গা থেকে এক মহিলার দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। দেহ দু’টি ময়নাতদন্তের জন্য কাকদ্বীপ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। মৃতদের পরিচয় জানতে তাদের ছবি দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা-সহ রাজ্যের সমস্ত থানায় পাঠানো হয়েছে। পুলিশের অনুমান পুণ্যার্থী ছিলেন ওই মহিলা।
নদীঘাটে কর্মরত ভেসেল কর্মী দুলাল চন্দ্র বলেন, “ভেসেলে ছিল সকলে। হঠাৎ দেখা যায় ভেসেলের গায়ে কী যেন লাগল। সকলে মিলে উঁকি মেরে দেখে দেহ ভাসছে। সঙ্গে সঙ্গে থানায় খবর দেওয়া হয়। মনে হচ্ছে পুণ্যার্থী। ৬০ বছরের উপরে বয়স।” দুলালবাবু জানান, প্রথমে তিনি দেখতে পাননি। সে সময় ভেসেলে যাঁরা ছিলেন তাঁদের হইচই শুনে ছুটে আসেন। তারপরই দেখেন এক মহিলা ভাসছে। তবে জলের টান সে সময় খুব বেশি ছিল। যদিও তাঁরা যেহেতু নদীর বুকেই বারো মাস থাকেন। জানেন, এ ধরনের ঘটনা ঘটলে কী করতে হয়। একটি কাপড় ওই মহিলার পায়ে বেঁধে টেনে তোলা হয়।
আরেক ভেসেল কর্মী নারু দাস বলেন, “ভেসেল ঘাটের কাছে দেহ ভেসে আসার খবর যায় থানায়। ভেসেল ঘাট থেকে এলসিডি ঘাটে নিয়ে যায় দেহ। একটা পায়ে জুতো আছে, একটা পায়ে জুতো নেই।” তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। থানাগুলিতেও খোঁজ খবর চলছে।