Wife death: প্রেম করে বিয়ে, স্বামী মজে অন্য মহিলায়! স্ত্রীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার
Affair: মাস খানেক আগে অভিযুক্ত স্বামী অন্য এক মহিলাকে বিয়ে করেন বলে অভিযোগ। এর পর তিনি বাড়িতে নিয়মিত থাকতেন না এবং সংসার চালানোর প্রয়োজনীয় খরচও দিতেন না।
কুলতলি: স্ত্রীকে পিটিয়ে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে। এই ঘটনা ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলি এলাকায়। জানা গিয়েছে, প্রেম করে বিয়ে করেছিলেন ওই দুজন। তাঁদের একটি পুত্র সন্তানও রয়েছে। মাস খানেক আগে অভিযুক্ত স্বামী অন্য এক মহিলাকে বিয়ে করেন বলে অভিযোগ। এর পর তিনি বাড়িতে নিয়মিত থাকতেন না এবং সংসার চালানোর প্রয়োজনীয় খরচও দিতেন না। মঙ্গলবার রাতে বাড়ি এলে স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে চরম বচসা বাঁধে। তখন ওই ব্যক্তি স্ত্রীকে মারধর করেন বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ। এর পর ওই মহিলার ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান প্রতিবেশীরা। মহিলার বাপের বাড়িতে খবর দিলে তাঁরা এসে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
কুলতলিতে স্ত্রীকে পিটিয়ে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। মৃতের পরিবারের অভিযোগ, মঙ্গলবার রাতে তাঁর মেয়ের মৃত্যু সংবাদ পান। মেয়ের শ্বশুরবাড়ির প্রতিবেশীরা তাঁদের মেয়ের মৃত্যুর খবর দেন। তখন মেয়ের শ্বশুরবাড়ি গিয়ে মেয়ের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান। এর পর কুলতলি থানায় খবর দেওয়া হয়। পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে নিয়ে আসে।
পাঁচ বছর আগে বকুলতলা থানার সাপলা গ্রামের তপতি মণ্ডলের সঙ্গে প্রেম করে বিয়ে হয় কুলতলির জামতলার অনুপ মণ্ডলের। তাঁদের একটি তিন বছরের পুত্র সন্তান রয়েছে। তার মধ্যেই গত বছর অনুপ আরও একটি বিয়ে করেন বলে অভিযোগ। আর এই দ্বিতীয় বিয়ের পর থেকেই সংসারে অশান্তি শুরু হয়। দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে সোনারপুর এলাকায় অনুপ থাকতেন বলে জানা গিয়েছে। অভিযোগ, তপতির সাংসারের খরচ বহনও করতেন না অনুপ। বাপের বাড়ি থেকে টাকা পয়সা নিয়ে সংসার চলছিল কোনও রকমে। জামতলার নিজের বাড়িতে প্রায়শই আসতেন অনুপ।মৃতের বাপের বাড়ির অভিযোগ, মঙ্গলবার জামতলার বাড়িতে এসেছিলেন অনুপ। তখন তাঁদের মধ্যে সাংসারিক অশান্তিও হয়েছিল।
কুলতলি থানায় গিয়ে অভিযুক্ত অনুপ ও তাঁর পরিবারের লোকেদের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছেন মৃতের বাবা। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে কুলতলি থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। যদিও ঘটনার অভিযুক্ত পলাতক। বুধবার সকালে ওই গৃহবধূর দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় পুলিশ।