দলীয় পতাকা লাগানোকে কেন্দ্র করে রক্তাক্ত সংঘর্ষ ঘাস-পদ্মের, আটক ৫
বিজেপির পাল্টা অভিযোগ, নির্বাচনী প্রচারের জন্য দলীয় পতাকা লাগাতে আসেন কর্মীরা। সেই সময় তৃণমূল আশ্রিত কিছু দুষ্কৃতী হামলা চালায়। রাস্তায় ফেলে বাঁশ, লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধোর করা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনায় আহত হন দুই বিজেপি কর্মী। দুজনকেই উত্তরপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
হুগলি: ভোট আবহে উত্তপ্ত কোন্নগর। শনিবার রাতে, দলীয় পতাকা লাগানোকে কেন্দ্র করে রক্তাক্ত হয়ে উঠল বাটা এলাকা। বিজেপি-তৃণমূল (BJP-TMC) সংঘর্ষে আটক ৫। আহত বেশ কয়েকজন।
তৃণমূলের (TMC) অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই চলছে পতাকা লাগানোর কর্মসূচি। শনিবার, রাত দশটার অনতিপরেই আচমকা ছিঁড়ে ফেলা হয় তৃণমূলের দলীয় পতাকা। খবর পেয়ে এলাকায় ছুটে আসেন তৃণমূল কর্মীরা। যারা পতাকা ছিঁড়ছিল তাদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে যান তৃণমূল (TMC) কর্মীরা। বিজেপি কর্মীরাই পতাকা ছিঁড়েছে বলে অভিযোগ ঘাসফুলের।
অন্যদিকে, বিজেপির (BJP) পাল্টা অভিযোগ, নির্বাচনী প্রচারের জন্য দলীয় পতাকা লাগাতে আসেন তাঁদের কর্মীরা। সেই সময় তৃণমূল আশ্রিত কিছু দুষ্কৃতী হামলা চালায়। রাস্তায় ফেলে বাঁশ, লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনায় আহত হন দুই বিজেপি কর্মী। দুজনকেই উত্তরপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পদ্ম শিবিরের একাংশের অভিযোগ, উত্তরপাড়ার তৃণমূল প্রার্থী কাঞ্চন মল্লিকের শাগরেদরাই এই কাজ করেছে।
যদিও মারধরের কথা অস্বীকার করেছে শাসক শিবির। স্থানীয় তৃণমূল (TMC) নেতৃত্বের দাবি, মারধরের সংস্কৃতি তৃণমূলের নেই। তৃণমূল কংগ্রেস একটি সুসংবদ্ধ দল। মারধোরের সংস্কৃতি বিজেপির। পুলিশ সূত্রে খবর, কোন্নগরের এই ঘটনায় ৫ জনকে আটক করা হয়েছে। চলছে জিজ্ঞাসাবাদও। গোটা ঘটনা কোন্নগর থানার তদন্তাধীন।
আরও পড়ুন: আর দু’দফার পরেই সব ঘরে ঢুকে যাবে: আত্মপ্রত্যয়ী দিলীপ