Ragging: ‘তৃতীয় বর্ষের এক দাদা আমাকে ঘুষি মারে’, র্যাগিংয়ের অভিযোগ রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজে
Ragging: রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজের আবদুলঘাটা অ্যাকাডেমি ব্লকের যে হস্টেল, সেখান থেকেই আসছে অভিযোগ। তৃতীয় বর্ষের পড়ুয়ারা জুনিয়রদের নিয়মিত মারধর, নির্যাতন করে বলে অভিযোগ। অভিযোগকারীরা জানান, কলেজ কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছিলেন। তবে তাতে কোনও লাভ হয়নি। তাই এবার রোগীকল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যানের কাছে জানালেন।
উত্তর দিনাজপুর: রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজে র্য়াগিংয়ের অভিযোগ উঠল। দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়াদের উপর তৃতীয় বর্ষের পড়ুয়াদের মানসিক নির্যাতন ও অশ্লীল বাক্যবাণের অভিযোগ ঘিরে শোরগোল। ছাত্র, ছাত্রী উভয়ই র্য়াগিংয়ের শিকার বলে অভিযোগ উঠেছে। আতঙ্কে কান্নায় ভেঙে পড়েন অভিযোগকারীরা। নিরাপত্তার দাবিতে রোগীকল্যাণ সমিতির ভাইস চেয়ারম্যান ও রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণীর দ্বারস্থ হন।
রায়গঞ্জ মেডিক্য়াল কলেজের আবদুলঘাটা অ্যাকাডেমি ব্লকের যে হস্টেল, সেখান থেকেই আসছে অভিযোগ। তৃতীয় বর্ষের পড়ুয়ারা জুনিয়রদের নিয়মিত মারধর, নির্যাতন করে বলে অভিযোগ। অভিযোগকারীরা জানান, কলেজ কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছিলেন। তবে তাতে কোনও লাভ হয়নি। তাই এবার রোগীকল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যানের কাছে জানালেন।
এক ছাত্রের অভিযোগ, “আমরা একদিন পার্টি করছিলাম। তা নিয়ে সিনিয়ররা আপত্তি করে। আমরা সরিও বলি। জানাই এমন আর হবে না। এরপরও আমাদের ডেকে পাঠানো হয়। নোংরা ভাষায় কথা বলে। মানসিক হেনস্থা করা হয়। তাও মেনে নিতাম। এরপর তৃতীয় বর্ষের এক দাদা আমাকে ঘুষি মারে। আমি সংজ্ঞা হারাই। এরপর ওরাই আমাকে জল দেয়। আমি উঠে বসতেই বলে হাঁটু গেড়ে (Knelt Down) বসতে।”
কৃষ্ণ কল্যাণী বলেন, “২০-২৫ জন ছাত্রছাত্রী আমার কাছে আসে। তাঁদের অভিযোগ, সিনিয়ররা ওঁদের র্য়াগিং করছেন। আমি এসপিকে জানালাম সবটা। আমাদের মুখ্যমন্ত্রীর কড়া বার্তা, কোনও র্য়াগিংয়ের অভিযোগ রেয়াত করা হবে না।” এর আগে যাদবপুরে এক ছাত্রের মৃত্যুতে এই র্যাগিংয়ের অভিযোগই সামনে আসে। এরপরই একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমনকী মেডিক্যাল কলেজগুলিও র্যাগিংবিরোধী প্রচারে নামে। কেন এই অভিযোগ উঠল, খতিয়ে দেখা দরকার মানছেন বিধায়কও।