Murder: মাধ্যমিক দিয়ে বেরিয়েই ছাত্রী শুনল বাবা আর নেই, বাড়িতে জোড়া খুন হয়েছে…
Raigunj: রায়গঞ্জ পুরএলাকার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের নিউ উকিলপাড়ার পীরপুকুরের পাশে তপন দে তাঁর মেয়েকে নিয়ে থাকতেন। মেয়ে তানিয়া এবার মাধ্যমিক পরীক্ষা দিচ্ছে। সকালে পরীক্ষা দিতে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায় সে। এরপর বাড়িতে একাই ছিলেন তপন। এরপরই স্থানীয়রা ওই বাড়ি থেকে একজনকে ছুটে বেরিয়ে যেতে দেখেন। খবর দেওয়া হয় থানায়। এরপরই পুলিশ এসে দেখে এই ঘটনা।
রায়গঞ্জ: সকালে মাধ্যমিক পরীক্ষা দিতে বেরিয়েছিল মেয়ে। তখনও বাবার সঙ্গে কথা হয়। পরীক্ষা হল থেকে বেরোতেই, পরিচিত একজন জানাল বাড়িতে প্রচুর পুলিশ এসেছে। বাবার বোধহয় কিছু হয়েছে। কাঁদতে কাঁদতে ছুটতে থাকে রায়গঞ্জ পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের নিউ উকিলপাড়ার তানিয়া দে। বাড়ি গিয়ে শোনে, বাবাকে কে যেন কুপিয়ে মেরে রেখে গিয়েছে। শুধু বাবাই নন, পাশে আরও এক ব্যক্তির দেহ পড়ে। এমন ঘটনায় দিশাহারা সে। বুঝতেই পারছে না কী থেকে কী হয়ে গেল। রায়গঞ্জ থানার পুলিশ মৃতদেহ দু’টি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। খুনের ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে পুলিশ এক সন্দেহভাজনকে আটকও করেছে।
রায়গঞ্জ পুরএলাকার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের নিউ উকিলপাড়ার পীরপুকুরের পাশে তপন দে তাঁর মেয়েকে নিয়ে থাকতেন। মেয়ে তানিয়া এবার মাধ্যমিক পরীক্ষা দিচ্ছে। সকালে পরীক্ষা দিতে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায় সে। এরপর বাড়িতে একাই ছিলেন তপন। এরপরই স্থানীয়রা ওই বাড়ি থেকে একজনকে ছুটে বেরিয়ে যেতে দেখেন। খবর দেওয়া হয় থানায়। এরপরই পুলিশ এসে দেখে এই ঘটনা।
তানিয়া পরীক্ষা দিয়ে হন্তদন্ত হয়ে বাড়ি ফিরে আসে। কান্নায় ভেঙে পড়ে সে। জানায়, পরীক্ষা দিয়ে বেরোনোর পর একজন বলে বাড়িতে প্রচুর পুলিশ এসেছে। বাবার কিছু একটা হয়েছে। তানিয়া বলে, “আমি দৌড়তে দৌড়তে বাড়ি ফিরে এসে দেখি এই দৃশ্য।” সকালে যখন তানিয়া পরীক্ষা দিতে বেরোয়, তখনও বাড়িতে সব ঠিক ছিল। কী হল বুঝতে পারছে না সে। তানিয়ার দাবি, হেমতাবাদের এক ব্যক্তি তার বাবাকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছিল একবার। তবে এর বেশি সে কিছুই বলতে পারেনি।
রায়গঞ্জ পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের কোঅর্ডিনেটর অর্ণব মণ্ডলের কথায়, “সকালে শুনলাম এই বাড়ি থেকে হাতে রক্তমাখা অবস্থায় একটা লোক তালা দিয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। তারপরই আমরা ছুটে আসি। পুলিশও সঙ্গে সঙ্গে আসে। তালা খুলে ভিতরে গিয়ে দেখি একজন রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছেন। মনে হচ্ছে আততায়ী পূর্ব পরিচিত। না হলে চিৎকার চেঁচামেচি হত। অথচ কোনও আওয়াজ পাননি আশপাশের বাসিন্দারা।”
রায়গঞ্জ পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ডেনডুপ শেরপা বলেন, “সকালে খবর পাই ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে দু’টো দেহ পড়ে আছে। মনে হচ্ছে খুন। সন্দেহভাজন একজনকে আটক করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।”