North Dinajpur: তুলে দিয়েছিল পুলিশ, আসার কথা ছিল মর্গে, কিন্তু রাস্তা থেকেই মৃতদেহ নিয়ে উধাও হয়ে গেল শববাহী গাড়ি
North Dinajpur: এদিনই ইটাহার থানার হাসূয়া এলাকার বাসিন্দা মৌসুমী সরকারের ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তারপরই তা একটি শববাহী গাড়িতে করে রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজে পাঠায়। গাড়িতে ছিলেন মৃতার এক আত্মীয়ও। কিন্তু, রাস্তা থেকেই উধাও হয়ে যায় গাড়ি।
রায়গঞ্জ: বাড়ি শববাহী গাড়িতে তোলা হয়েছিল মৃতদেহ। তা নিয়ে সোজা আসার কথা ছিল হাসপাতালে। অভিযোগ, রাস্তা থেকেই মৃতদেহ সমেত গাড়ি নিয়ে অন্যত্র চলে যান চালক। ঘণ্টার পর ঘণ্টা কেটে গেলেও আর তার দেখা মেলেনি। মেলেনি খোঁজ। এদিকে শোকে কাতর পরিবারে তখন নতুন চিন্তা। অঙ্গ পাচারের আশঙ্কা করতে শুরু করেছেন পরিজনরা। শনিবার এ ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।
এদিনই ইটাহার থানার হাসূয়া এলাকার বাসিন্দা মৌসুমী সরকারের ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তারপরই তা একটি শববাহী গাড়িতে করে রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজে পাঠায়। গাড়িতে ছিলেন মৃতার এক আত্মীয়ও। অভিযোগ, হাসপাতালে আসার আগে মাঝ রাস্তা থেকে গায়েব হয়ে যায় শববাহী গাড়ি। রাস্তাতেই নামিয়ে দেওয়া হয় মৌসুমী দেবীর আত্মীয়কে। বাড়ির সদস্যদের আশঙ্কা মৃতদেহ পাচার বা অঙ্গ পাচার কিংবা খারাপ কিছু করার উদ্দেশ্যে দেহ নিয়ে চম্পট দিয়েছিলেন চালক।
গোটা ঘটনায় তাঁরা মৌখিকভাবে অভিযোগ জানান রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজের সহকারী সুপার শৌনক কুমার ঘোষের কাছে। লিখিত অভিযোগ পেলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে বলে জানাচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। যদিও দেখা যায় প্রায় তিন ঘণ্টা পর গাড়ি নিয়ে হাসপাতালে পৌঁছান চালক মিঠুন হাজরা। তাঁকে দেখেই মারমুখী হয়ে ওঠে মৃতার বাড়ির লোকজন। চালক মিঠুন হাজরার দাবি, করণদীঘিতে অন্য একটি মৃতদেহ আনার কল এলে গাড়ির মালিক তাঁকে করণদিঘি যেতে বলেন। ওখান থেকে আরও একটি দেহ তুলে হাসপাতালে আসেন। এদিকে এ ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়েও উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। ঘটনাস্থল বা PO থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ মর্গ পর্যন্ত দেহ পুলিশি নজরদারিতে স্থানান্তরিত করা নিয়ম। কিন্তু, এ ক্ষেত্রে কেন তা হল না সেই প্রশ্ন ঘুরছে।