Chopra: ২৮ তারিখে বসেছিল জেসিবির ‘ইনসাফ’ সভা, দু’দিন ধরে কার ভয়ে চাপা রইল সবটা
Chopra: সরকারি আইনজীবী জানান, অভিযুক্ত জেসিবির নামে আরও ১২টা কেস 'পেন্ডিং'। খুনের মামলাও আছে। প্রশ্ন উঠছে, এরকম এক অভিযুক্ত কীভাবে এতদিন ধরে ময়দানে ঘুরে বেড়াচ্ছেন? ইসলামপুর পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার জোবি থমাস বলেন, "আমরা ভাইরাল ভিডিয়ো দেখে ব্যবস্থা নিয়েছি। একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ওই ঘটনায় যারা জড়িত তাদের কাউকে ছাড়া হবে না। পুলিশ আইনানুগ ব্যবস্থা নেবেই।"
উত্তর দিনাজপুর: চোপড়াকাণ্ডে রবিবার রাতেই গ্রেফতার করা হয় তাজেমুল ইসলাম ওরফে জেসিবিকে। সোমবার তাঁকে তোলা হয় আদালতে। জেসিবিকে ৫ দিনের পুলিশি হেফাজত দেয় আদালত। অন্যদিকে চোপড়া কেসে সরকারি আইনজীবী সঞ্জয় ভাওয়াল এদিন জানান, ১২টি মামলা রয়েছে এই জেসিবির নামে। জানান, ২৮.৬.২৪ এর ঘটনা। ৩০ তারিখ ভিডিয়োটি নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়। প্রশ্ন উঠছে, দু’দিন ধরে এত বড় ঘটনা চাপা রইল কীভাবে? কোন ‘চোখ রাঙানি’ দমিয়ে রাখল সকলকে?
এদিন সরকারি আইনজীবী বলেন, “যিনি অভিযোগ করেছেন, তিনি একজন এসআই, নাম সঞ্জিত ঘোষ। তাঁর বক্তব্য, একটি ভিডিয়ো ক্লিপ তিনি পান। সেখানে একজন ব্যক্তি একজন মহিলা ও এক ব্যক্তিকে মারছেন। এরপর তদন্ত শুরু হয়। জানতে পারেন, বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল ওই মহিলা ও ওই ব্যক্তির। তাতেই এলাকায় ইনসাফ নামে এক সালিশি সভা বসে। গত ২৮.৬.২৪-এর ঘটনা। সেই সালিশিতে দেখা যায় জেসিবি ছিল সেখানে। তিনি বাজে ভাষায় ভিক্টিমদের সঙ্গে কথা বলেন, মারধর করেন।”
সরকারি আইনজীবী জানান, অভিযুক্ত জেসিবির নামে আরও ১২টা কেস ‘পেন্ডিং’। খুনের মামলাও আছে। প্রশ্ন উঠছে, এরকম এক অভিযুক্ত কীভাবে এতদিন ধরে ময়দানে ঘুরে বেড়াচ্ছেন? ইসলামপুর পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার জোবি থমাস বলেন, “আমরা ভাইরাল ভিডিয়ো দেখে ব্যবস্থা নিয়েছি। একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ওই ঘটনায় যারা জড়িত তাদের কাউকে ছাড়া হবে না। পুলিশ আইনানুগ ব্যবস্থা নেবেই।”