Crime: শুধু টাকা চাই! হাতুড়ে চিকিৎসক দিয়ে স্ত্রীর ভ্রুণ নষ্ট করে তাঁকে খুনের অভিযোগ স্বামীর বিরুদ্ধে

Domestic Violence: বাপের বাড়ি থেকে টাকা আনার জন্য ক্রমাগত চাপ দিত শ্বশুরবাড়ির লোকজন। কিন্তু বধূ কিছুতেই বাপের বাড়ির কাছে হাত পাততে নারাজ। এই 'অপরাধে'  হাতুড়ে চিকিৎসক দিয়ে দু'মাসের অন্তঃসত্ত্বার ভ্রুণ নষ্ট করে দেওয়ার অভিযোগ শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে।

Crime: শুধু টাকা চাই! হাতুড়ে চিকিৎসক দিয়ে স্ত্রীর ভ্রুণ নষ্ট করে তাঁকে খুনের অভিযোগ স্বামীর বিরুদ্ধে
মৃত গৃহবধূর ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 24, 2021 | 10:41 PM

উত্তর দিনাজপুর: বাপের বাড়ি থেকে টাকা আনার জন্য ক্রমাগত চাপ দিত শ্বশুরবাড়ির লোকজন। কিন্তু বধূ কিছুতেই বাপের বাড়ির কাছে হাত পাততে নারাজ। এই ‘অপরাধে’  হাতুড়ে চিকিৎসক দিয়ে দু’মাসের অন্তঃসত্ত্বার ভ্রুণ নষ্ট করে দেওয়ার অভিযোগ শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে। এখানেই শেষ নয়, অসুস্থ গৃহবধুর উপর অকথ্য শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার চালানো হয় তার পরেও। আশঙ্কাজনক অবস্থায় বাপের বাড়ির লোকজন তাঁকে রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি করলে সেখানেই মৃত্যু হয় গৃহবধূর। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ এলাকায়।

অভিযোগ, বাপের বাড়ি থেকে বারংবার টাকা আনার জন্য চাপ দেওয়া হত বধূকে। অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের অত্যাচার আর সহ্য করতে পারেননি। তাই অনিচ্ছা সত্ত্বেও বাপের বাড়ি থেকে টাকা এনে দিয়েছিলেন। কিন্তু তাতেও মন গলেনি। জোর করে অন্তঃসত্ত্বার গর্ভপাত করানো এবং তাঁর মৃত্যুতে আঙুল উঠল শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে। এদিন রায়গঞ্জ মেডিক্যালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় রিনা চৌহান (মাহাতো) নামে ২২ বছরের ওই বধূর।

জানা গিয়েছে, রিনার শ্বশুরবাড়ি কালিয়াগঞ্জ থানার তরঙ্গপুরের ভেউর এলাকায়। বাপের বাড়ি রায়গঞ্জের ফরেস্ট মোড় এলাকায়। তাঁর বাপের বাড়ির অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই রিনার উপর শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার চালাত শ্বসুরবাড়ির লোকজন। মাঝেমধ্যেই তাঁদের কাছ থেকে টাকা এনে দেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হত তাঁকে। এরকম বহুবার মেয়েকে নির্যাতনের হাত থেকে রক্ষা করতে তার শ্বশুরবাড়িতে টাকা পৌঁছে দিয়েছেন তিনি। কিন্তু তারপরও সমস্যা মেটেনি। স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকেদের দিনদিন লালসা বেড়েই চলে। এর পর জোর করে রিনার গর্ভপাত করানো হয় বলে অভিযোগ।

মৃতার আত্মীয়রা অভিযোগ করেন, বিয়ের পর থেকেই টাকা চেয়ে আমার মেয়েকে মানসিক চাপ দেওয়া হত। তাকে মারধরও করত স্বামী, শ্বশুর, ভাসুর- সবাই। টাকা না পেয়ে জোর করে মেয়েকে ওষুধ খাইয়ে গর্ভপাত করানো হয়। তার পর হাতুড়ে ডাক্তার দিয়ে চিকিৎসা করানো হয়। তাতে রিনা আরও অসুস্থ হয়ে পড়েন। এদিকে তাঁরা অসুস্থ মেয়েকে বাড়িতে নিয়ে যেতে চাইলে শ্বশুরবাড়ির লোকেরা রাজি হননি বলে দাবি রিনার বাপের বাড়ির। এমনকি মেয়েকে ঝাড়ফুঁক করা হয় বলে অভিযোগ। তার পর তাঁর গর্ভপাতের বিষয়টি বাপের বাড়ির লোকেদের যাতে কানে না যায় তার জন্য হুমকি দেওয়া হত রিনাকে। এত অত্যাচার সহ্য করতে পারেননি রিনা।

তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে বাপের বাড়ির লোকেরা একপ্রকার জোর করে তাঁকে রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান। সেখানেই সিসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় ওই গৃহবধূর। এরপর মৃতার স্বামী, শ্বশুর, ভাসুরদের বিরুদ্ধে কালিয়াগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন মৃতার বাপের বাড়ির লোকজন। ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়।

আরও পড়ুন: Crime News: ৯ মাসের অন্তঃসত্ত্বাকে পিটিয়ে মেরে পলাতক শ্বশুরবাড়ির লোকজন!