Krisna Kalyani: ‘সিস্টেমকে বদলাতে হবে’, হঠাৎ কেন বললেন রায়গঞ্জের বিধায়ক?
Krishna Kalyani: মঙ্গলবার দুপুরে রায়গঞ্জের মাড়াইকুড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের টেনহরি গ্রামে দিদির সুরক্ষা কবচ কর্মসূচিতে পৌঁছন রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী।
রায়গঞ্জ: চাকরি দুর্নীতি নিয়ে বিস্ফোরক পিএসি চেয়ারম্যান তথা রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী। টাকা নেওয়ার সঙ্গে যারা টাকা দিয়েছে তাঁরাও দোষী বলে মন্তব্য কৃষ্ণর। বিধায়ক তাঁর মন্তব্যে দুর্নীতি হয়েছে বলে স্বীকার করে নিয়েছেন বলে কটাক্ষ বিজেপির। দিদির সুরক্ষা কবচ কর্মসূচিতে গিয়ে কৃষ্ণের বক্তব্যে রাজনৈতিক তরজা।
মঙ্গলবার দুপুরে রায়গঞ্জের মাড়াইকুড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের টেনহরি গ্রামে দিদির সুরক্ষা কবচ কর্মসূচিতে পৌঁছন রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী। সেখানেই মঞ্চে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তাঁর দাবি, “কী করে দুর্নীতি হয়? একজন ব্যক্তি যদি ঘুষ নিয়ে থাকেন। হাজারো ব্যক্তি ঘুষ দিয়েছে। আমাদের সংবিধানে যদি ঘুষ নেওয়াটা অন্যায় থাকে তাহলে ঘুষ দেওয়াটাও অন্যায়। আপনার কাছে ১০০ টাকা আছে,আর কেউ আপনার সামনে ২ হাজার টাকা নিয়ে ঘুর ঘুর করলে আপনার মনটা ডগমগ করবে কী করবে না! সিস্টেমটাকে বদলাতে হবে। শপথ করব, না অন্যায় করব না সহ্য করব। না ঘুষ দেবো না ঘুষ নেবো। দল দুর্নীতি করে না। ব্যক্তি দুর্নীতি করে।”
এর পাশাপাশি তিনি এলাকার তৃনমুল নেতাদের প্রতি সাবধানবাণি শোনা যায় তাঁর মুখে। স্পষ্ট হুঁশিয়ারি, “আমার এলাকায় যে নেতারা আছেন তাঁরা সংযত থাকবেন। আমার বিধানসভা এলাকায় জনগণের কাছ থেকে দুর্নীতি হিসেবে কেউ যদি টাকা তুলে থাকেন, সবার আগে তাকে জেলে ভরার কাজ আমি করব।”
এদিকে প্রকাশ্য সভায় দল বদলু বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণীর এই মন্তব্যে সরব জেলা বিজেপি নেতৃত্ব। বিজেপির উত্তর দিনাজপুর জেলা সহ-সভাপতি নিমাই কবিরাজ বলেন,”উনি কোন দলের বিধায়ক সেটা আগে ঠিক করুন। আর চাকরি চুরি যে হয়েছে সেটা তার বক্তব্যেই স্পষ্ট, সেটা তিনি মেনেই নিয়েছেন। আর রাজ্য জুড়ে চাকরি চোরদের বীরের মর্যাদা দিচ্ছে তাদের নেত্রী। মানুষ বুঝে গিয়েছে। নির্বাচনে ওদের জবাব দেবে মানুষ।”