Transgender in Politics: বাংলার রাজনীতিতে ‘প্রথম’ বৃহন্নলা! বিধায়কের হাত ধরে নজির সোনামনি শেখের
Transgender in Politics:বিধায়কের বিতর্কিত সেই তালিকায় শহরের ১২ নম্বর ওয়ার্ডে নাম রয়েছে সোনামনি শেখের।
রায়গঞ্জ : দীর্ঘদিন ধরেই সমাজসেবার সঙ্গে যুক্ত তৃতীয় লিঙ্গের প্রতিনিধি সোনামনি শেখ। বৃহন্নলাদের সমাজের পথে উত্তরণের বার্তা পদে পদে দিতে চেয়েছেন বরাবর। এবার বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণীর হাত ধরে নতুন পথচলা শুরু সোনামনির। রাজনীতিতে প্রবেশ করতে চলেছেন তিনি। রাজ্যে প্রথম কোনও বৃহন্নলা রাজনীতিতে প্রবেশ করছেন বলে দাবি সোনামনির। সম্প্রতি মেয়াদ ফুরনো রায়গঞ্জ পুরসভায় প্রতিটি ওয়ার্ডে বিধায়ক মনোনীত প্রার্থীকে বসানোর কথা ঘোষণা করেছেন বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী। আর সেই তালিকাতেই নাম রয়েছে সোনামনি শেখের। তাঁর দাবি, বৃহন্নলাদের কাছে কার্যত নজির গড়তে চলেছেন তিনি।
রায়গঞ্জ শহরের ২৭টি ওয়ার্ডের প্রতিনিধির নাম ঘোষণা করেছেন বিধায়ক। বিধায়কের সেই তালিকায় শহরের ১২ নম্বর ওয়ার্ডে নাম রয়েছে সোনামনি শেখের। শুধু রায়গঞ্জ বা উত্তর দিনাজপুর জেলাতেই নয়, এ রাজ্যে এই প্রথম রাজনীতির ময়দানে বৃহন্নলার প্রবেশ বলে দাবি করেছেন সোনামনি।
রায়গঞ্জের পূর্ব অশোকপল্লিতে বৃহন্নলাদের বাস। তাঁদেরই হোতা সোনামনি শেখ। শুধু রায়গঞ্জেরই নয়, রাজ্য বৃহন্নলা উন্নয়ন কমিটির দায়িত্বেও আছেন তিনি। সামাজিক নানা কর্মসূচির সঙ্গেও জড়িত তিনি। এবার বিধায়কের প্রতিনিধি হিসেবে সেই কাজ আরও সহজ হবে ও আরও ব্যাপ্তি পাবে বলে তাঁর দাবি।
তবে সোনামনির নাম উঠে আসতেই বিতর্ক শুরু হয়েছে রায়গঞ্জের রাজনৈতিক মহলে। ইতিমধ্যেই ওই তালিকা প্রকাশের পর অন্যান্য ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর তথা বর্তমান কো-অর্ডিনেটরদের মতো ১২ নম্বরের কো-অর্ডিনেটরেরও মুখ ভার। বর্তমান কো-অর্ডিনেটর আরতি মণ্ডল দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, মনে খুব কষ্ট হচ্ছে। ওয়ার্ডে অনেক কাজ করেছি। বিধায়ক আমাকেই তাঁর প্রতিনিধি করতে পারতেন। আগামীতে রায়গঞ্জ পুরসভা নির্বাচনের প্রার্থী হিসেবে টিকিট পাওয়া নিয়েও আশঙ্কায় রয়েছেন তিনি।
তবে সোনামনির দাবি, টিকিট নিয়ে তিনি চিন্তিত নন। তিনি বলেন, রায়গঞ্জের বিধায়কের এই তালিকা নিয়ে বিতর্ক থাকা ঠিক নয়। কারণ এটা তো নির্বাচনের টিকিট নয়। সবার মধ্যে এনিয়ে ভুল ধারণা আছে। আমি সমাজের কাজ করি বলেই বিধায়ক আমাকে প্রতিনিধি করেছেন। আগামিদিনে টিকিট নাও পেতে পারি। সমাজের কাজ করতে গেলে যে নেতা-নেত্রী হতে হবে, তেমনটা নয়। মানুষ হিসেবেই কাজ করা যায়।
বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জন উন্নয়নমূলক কাজে অনুপ্রাণিত হয়ে আর আমার কাজ দেখে এগিয়ে এসেছিলেন সোনামনি। সেই কারণেই ওঁকে দায়িত্ব দিয়েছি। সমাজ বদলেছে তাই ওঁদেরও এগিয়ে আসাটা সমাজ মেনে নিয়েছে।’ এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল বলেন, ‘মহিলা, পুরুষ থাকলে তৃতীয় লিঙ্গও থাকবে। ওঁকে স্বাগত জানাই।’